হরিয়ানায় জাঠ আধিপত্য ভাঙতে চান মোদী-অমিত

মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার প্রশ্নে এখনও জট কাটেনি। কিন্তু হরিয়ানায় মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়ার প্রশ্নে আগামিকাল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে বিজেপি। রাজ্যের জয়ী বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করবেন হরিয়ানার দায়িত্বপ্রাপ্ত দলীয় পর্যবেক্ষক বেঙ্কাইয়া নায়ডু। বিজেপি সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী বেছে নিতে চায় দল। মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন মনোহরলাল খাট্টার ও রামবিলাস শর্মার মতো অ-জাঠ নেতা। তবে কালো ঘোড়া হিসেবে এখনও দৌড়ে রয়েছেন রাজ্যের জাঠ নেতা ক্যাপ্টেন অভিমন্যু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৪ ০৩:০১
Share:

মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার প্রশ্নে এখনও জট কাটেনি। কিন্তু হরিয়ানায় মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়ার প্রশ্নে আগামিকাল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে বিজেপি। রাজ্যের জয়ী বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করবেন হরিয়ানার দায়িত্বপ্রাপ্ত দলীয় পর্যবেক্ষক বেঙ্কাইয়া নায়ডু। বিজেপি সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী বেছে নিতে চায় দল। মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন মনোহরলাল খাট্টার ও রামবিলাস শর্মার মতো অ-জাঠ নেতা। তবে কালো ঘোড়া হিসেবে এখনও দৌড়ে রয়েছেন রাজ্যের জাঠ নেতা ক্যাপ্টেন অভিমন্যু।

Advertisement

একার জোরে হরিয়ানায় ক্ষমতা দখল করায় দলের অন্দরমহলেই মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে তুমুল জল্পনা শুরু হয়। রাজ্যে জাঠদের আধিপত্য খর্ব করে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি কোনও অ-জাঠ নেতাকে দেওয়া হবে কি না তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ সকাল থেকেই দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।

বিজেপি সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রাথমিক ভাবে অ-জাঠ নেতার পক্ষেই রায় দিয়েছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে গোটা বিষয়টি চূড়ান্ত হবে বিধায়ক দলের বৈঠকের পর। অ-জাঠ নেতা মুখ্যমন্ত্রী হলে মূল লড়াইটি হতে চলেছে মনোহরলাল ও রামবিলাসের মধ্যেই। দু’জনেই এক সময়ে সঙ্ঘ পরিবারের সদস্য ছিলেন। প্রশাসনিক অভিজ্ঞতার প্রশ্নে এগিয়ে রয়েছেন রামবিলাস। এ নিয়ে চার বার বিধায়ক নির্বাচিত হলেন তিনি। নব্বইয়ের দশকে বিজেপি বংশীলালের সঙ্গে হাত মিলিয়ে হরিয়ানায় সরকার গড়েছিল। তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন রামবিলাস।

Advertisement

পরিবর্তে মনোহরলাল বরাবরই দলের কৌশল স্থির করার কাজ করেছেন। এ বারই প্রথম লড়তে নেমেছিলেন। কারনাল থেকে জিতেছেন পঞ্জাবি ওই নেতা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে সুসম্পর্ক রয়েছে তাঁর। বিজেপির এক নেতার কথায়, “এই কারণটির জন্যই কিন্তু মনোহরলাল এক কদম হলেও এগিয়ে রয়েছেন রামবিলাসের চেয়ে।”

দুই অ-জাঠ নেতার চেয়ে দৌড়ে বেশ কয়েক কদম পিছিয়ে রয়েছেন জাঠ নেতা অভিমন্যু। বিজেপি সূত্রের খবর, হরিয়ানায় জাঠ শ্রেণির আধিপত্য ভাঙার কাজ শুরু করে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা। সেই প্রেক্ষিতেই অভিমন্যুর পক্ষে কুর্সি দখল করা বেশ কঠিন। হরিয়ানায় ২১% জাঠ ভোট রয়েছে। তা সত্ত্বেও দীর্ঘ সময় ধরে কর্তৃত্বের রাশ নিজেদের হাতে ধরে রেখেছেন জাঠেরা।

বিজেপির এক নেতার কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী থেকে আমলা, নিচু তলার কর্মচারী থেকে পুলিশ সবেতেই জাঠেদের প্রাধান্য। ফলে রাজ্যের অন্যান্য জাতির মধ্যে ক্ষোভ বেড়েছে।” বিধানসভা নির্বাচনে সেই ক্ষোভকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি। যে ভাবে অ-জাঠ শ্রেণিগুলি বিজেপিকে ভোট দিয়েছে তাতে তাদের চটিয়ে ফের কোনও জাঠ নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী করা বেশ কঠিন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন