ফাইল চিত্র
কৈলাস যাবেন রাহুল গাঁধী। দলের নেতাদের একাংশ আজ রাতে জানান, সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী পরশু তিনি কাঠমান্ডু যাবেন। সেখান থেকে বিমানে তিব্বতের লাসা যেতে পারেন। তার পর সড়কপথে কৈলাস-মান সরোবর। ফেরার কথা ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে।
মাস চারেক আগে দিল্লি থেকে বিশেষ বিমানে কর্নাটক যাচ্ছিলেন রাহুল। হঠাৎই হু-হু করে আট হাজার ফুট নীচে নেমে যায় তাঁর বিমান। রাহুল বলেছিলেন, ‘‘মনে হয়েছিল এ বারে গেলাম। তারপরেই মনে হল, একবার কৈলাসে যাওয়া উচিত।’’
কৈলাস-মান সরোবরে বিদেশ মন্ত্রক প্রতি বছরই ভারতীয়দের নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। সেজন্য নাম নথিভুক্ত করতে হয়। তবে কেউ চাইলে চিনের ভিসা নিয়ে আলাদা যেতেই পারেন। কংগ্রেসের নেতাদের একাংশ জানান, সাংসদ হিসেবে কূটনৈতিক পাসপোর্ট রয়েছে কংগ্রেস সভাপতির। ফলে ভারত সরকারের অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। তবে এসপিজি
নিরাপত্তাপ্রাপ্ত রাহুল কেন্দ্রীয় সরকারকে অবশ্যই তাঁর যাত্রা সম্পর্কে অবহিত করবেন। প্রসঙ্গত, আগে
কংগ্রেস অভিযোগ করে, বিদেশ মন্ত্রক রাহুলকে কৈলাস যাত্রার অনুমোদন দিচ্ছে না। বিদেশ মন্ত্রকের পাল্টা বক্তব্য
ছিল, আবেদনই করেননি রাহুল।
বিজেপির কটাক্ষ, তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাহুল ফের ‘শিবভক্ত’ হয়েছেন। কংগ্রেস নেতাদের পাল্টা বক্তব্য, রাহুল নিজে হিন্দু হয়েও যে সব ধর্মকে সম্মান করতে পারেন, তা বিজেপি-আরএসএসের বোঝার ক্ষমতার বাইরে। শিবের প্রতি ভক্তি রাহুলের বংশ পরম্পরায়। তার পরেও কংগ্রেস দল সব ধর্ম, সব সম্প্রদায়ের জন্য।