সোমবার ধনতেরাসের দিন থেকে ভোটের জন্য চাঁদা তোলা শুরু করল বিজেপি। তা-ও আবার ‘নমো’ অ্যাপ-এর মাধ্যমে।
খোদ প্রধানমন্ত্রী আজ থেকে ১৫ দিন দলকে এই বিশেষ অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ‘নমো’ অ্যাপ-এর মাধ্যমে ৫ টাকা থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা তোলা যাবে। কিন্তু প্রযুক্তির মাধ্যমে চাঁদা তোলা হলেও আসলে সে জন্য মানুষের কাছে যেতে হবে কর্মীদের। নিজের এলাকায় মানুষকে জড়ো করে চাঁদা দেওয়ার আবেদন করতে হবে নেতাদের।
এক সময়ে কমিউনিস্ট পার্টিগুলির নেতা-কর্মীরা এ ভাবে বাড়ি বাড়ি ঘুরে চাঁদা তুলতেন। বন্যাত্রাণের টাকাও তোলা হতো এ ভাবে। বিজেপিও এখন সে পথ নিচ্ছে। বিরোধীরা অবশ্য কটাক্ষ করছে— কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা রয়েছে বিজেপির, তাদের আবার টাকা তোলার কী দরকার?
বিজেপি নেতারা বলছেন, আসলে এ’টি ভোটের কৌশল। টাকার থেকেও আবেগকে উস্কে দেওয়াটাই আসল লক্ষ্য। যে সব মানুষ গত কয়েক বছরে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের জন্য বিজেপি থেকে দূরে চলে গিয়েছেন, তাঁদের আবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা। সে কারণেই ৫ টাকা থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। এক বার যিনি টাকা দেবেন, বিজেপির প্রতি আবেগটা থাকবে। তিনি ‘নমো’ অ্যাপ ডাউনলোড করলে মোদীর সঙ্গেও সরাসরি যোগসূত্র তৈরি হবে।
আরও পড়ুন: অরিহন্ত সফল, ভারতের পরমাণু ত্রিশূল সম্পূর্ণ, ‘যোগ্য জবাব দিলাম’, টুইট মোদীর
কংগ্রেস অবশ্য এর পিছনে বিজেপির একটি গোপন উদ্দেশ্যও দেখছে। সেটি হল, ‘নমো’ অ্যাপ-এ টাকা দিলে কোনও ব্যক্তির নাম, মোবাইল নম্বর চলে আসবে। তার ভিত্তিতে বিজেপি একটি ‘ডেটা-ব্যাঙ্ক’ তৈরি করবে। এক বার চাঁদা দিলে তাঁর মোবাইলে বিজেপির যাবতীয় প্রচার সামগ্রী আসতে থাকবে। সেই হিসাবে এক ঢিলে অনেক পাখি মারতে চাইছে বিজেপি।