স্বামীর ইনিংসে অস্বস্তিতে বিজেপিই

ক্রিজে নেমেই একের পর এক ছয় মারছেন। কিন্তু আউট হয়ে দলকে ডুবিয়ে দেবেন কিনা, তা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বিজেপির অন্দরমহলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৩১
Share:

ক্রিজে নেমেই একের পর এক ছয় মারছেন। কিন্তু আউট হয়ে দলকে ডুবিয়ে দেবেন কিনা, তা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বিজেপির অন্দরমহলে। রাজ্যসভায় সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর ইনিংস নিয়ে আপাতত তাই চাপে অরুণ জেটলিরাই। দু’দিন আগে জ্যসভার সাংসদ হয়েছেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। বিজেপি নেতা হলেও তিনি রাষ্ট্রপতির মনোনীত সদস্য। আর পর পর দু’দিনই তাঁর কথাবার্তায় রে-রে করে উঠেছে বিরোধীরা। বিরোধীরা বেকায়দায় পড়লে শাসক দলের কোনও অসুবিধে নেই। কিন্তু সেই কথা রেকর্ড থেকেই বারংবার বাদ দিতে হচ্ছে। চেয়ারের বকুনি চলে যাচ্ছে ভৎর্সনার দিকে। ফলে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে বাধ্য হচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

Advertisement

গতকাল সুব্রহ্মণ্যম স্বামীই ভিভিআইপি কপ্টার দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যসভায় প্রথম সনিয়া গাঁধীর নাম করে আক্রমণ করেন। সনিয়ার নাম নিতেই ওয়েলে চলে আসেন ক্ষুব্ধ কংগ্রেস সাংসদরা। শেষে ডেপুটি চেয়ারম্যান পি জে কুরিয়েন বলেন, যে সাংসদ রাজ্যসভায় এসে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পারবেন না, তাঁর নাম নেওয়া সমীচীন নয়। তাই ওই বক্তব্য রেকর্ড থেকে বাদ যাবে।’’ এ দিন সংসদের অধিবেশন শুরু হতেই ফের সুযোগ খুঁজছিলেন স্বামী। তক্কে তক্কে ছিল কংগ্রেসও। উঠে দাঁড়ালেই তাঁকে বলতে দেওয়া হচ্ছিল না। পরে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গে এক বিতর্কে অংশ নিয়ে স্বামী টেনে আনেন ইতালির সংবিধানের প্রসঙ্গ। ডেপুটি চেয়ারম্যান আজ শুধু রেকর্ড থেকে স্বামীর বক্তব্য বাদ দেননি। সংবাদমাধ্যমও তা প্রচার করতে পারবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন।

রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ ডেপুটি চেয়ারম্যানকে বলেন, ‘‘এই ব্যক্তি রাস্তার ভাষা আর সংসদীয় ভাষার ফারাক বোঝেন না।’’ ডেপুটি চেয়ারম্যান স্বামীর উদ্দেশে বলেন, ‘‘সংসদের জিরো আওয়ারকে বানচাল করার চেষ্টা করছেন আপনি।’’ কিন্তু স্বামীকে নিয়ে যত না কংগ্রেস বিরক্ত, তার থেকেও বেশি বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছে বিজেপি শিবিরে। সঙ্ঘের চাপে তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করতে হয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, অরুণ জেটলির পরামর্শকেও নাকি তিনি তোয়াক্কা করছেন না। দলের এক নেতা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘‘আজ সনিয়ার বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন স্বামী। কিন্তু ওঁকে বিশ্বাস নেই। হয়তো এর পরেই বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হবেন।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন