(বাঁ দিকে) অমিত শাহ এবং রাহুল গান্ধী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে দুই শরিকের সাহায্যে সরকার গড়তে হয়েছে বিজেপিকে। অন্য দিকে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইন্ডিয়া জোট এ বারে লোকসভা নির্বাচনে ভাল ফল করেছে। এই অবস্থায় লোকসভার প্রথম অধিবেশনেই বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন রাহুল গান্ধী, অখিলেশ যাদব-সহ বিরোধী নেতারা। দেশ জুড়েই বিজেপির বিরুদ্ধে ক্রমশ সুর চড়া করছেন বিরোধী নেতৃত্ব। এই অবস্থায় চাপের মুখে পাল্টা আক্রমণে নামলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শনিবার ঝাড়খণ্ডে দলীয় কর্মীদের সভায় সরাসরি কংগ্রেস নেতা তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে নিশানা করে অমিত বলেন, ‘‘পরপর তিন বার হারের পরেও ওঁর এত ঔদ্ধত্য কেন?’’
এ দিন অমিত শাহ জানান, লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে কেন্দ্রে তৃতীয় বারের জন্য সরকার গড়েছে। গোটা ইন্ডিয়া জোট যত আসন পেয়েছে, বিজেপি একাই তার থেকেও বেশি আসনে জিতেছে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা দেখেছি, গণতন্ত্রে অনেক ক্ষেত্রেই জয়ের পরে ঔদ্ধত্য আসে। এই ঝাড়খণ্ডেই তেমন সরকার রয়েছে। কিন্তু এই প্রথম দেখছি, হারের পরেও কেউ কেউ উদ্ধত হন। সবাই জানেন, কারা নির্বাচনে জিতেছে, কারা সরকার গড়েছে। রাহুল গান্ধী সংসদে যে আচরণ করেছেন, তা দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জেতার পরেও অনেকে করেন না। তা হলে এই ঔদ্ধত্য কেন?’’
এ দিন ঝাড়খণ্ডের জেএমএম-কংগ্রেস জোট সরকারকেও আক্রমণ করেছেন শাহ। ঝাড়খণ্ড সরকারকে দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে নিশানা করেন তিনি। পাল্টা বিরোধীদের অভিযোগ, দুর্নীতি মামলায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বিজেপি নির্দেশে। তার পরে ইডি-র প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও আদালতে জামিন পেয়েছেন হেমন্ত, ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে। যার ফলে রাজ্যে বেশ চাপে বিজেপি। এই অবস্থায় দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতেই শাহ আক্রমণ করেছেন বিরোধীদের।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে