Kailash Vijayvargiya

পোহা খাওয়া মানেই বাংলাদেশি! কৈলাসের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়

এই ‘অদ্ভুত’ খাদ্যাভাস দেখে তাঁর সন্দেহ হয়েছে কর্মীদের জাতীয়তা নিয়ে। তাঁর মনে হয়েছে, নিয়মিত পোহা খাওয়া ওই নির্মাণ কর্মীরা বাংলাদেশের বাসিন্দা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইনদওর শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২০ ১৭:৩৪
Share:

পোহা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচিত কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ছবি টুইটার থেকে সংগৃহীত।

বাড়িতে কাজ করতে আসা নির্মাণকর্মীদের খ্যাদ্যাভাস দেখেই তাঁদের পরিচয় আন্দাজ করেছেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। জনসভায় গিয়ে সে কথা ফলাও করে বলেওছেন তিনি। তার পরই নেটদুনিয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন কৈলাস।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে একটি আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। মধ্যপ্রদেশের ইনদওরে হওয়া সেই সভায় তিনি জানান, তাঁর বাড়িতে কিছু দিন আগে নির্মাণ কাজ চলছিল। সেখানে কাজ করতে আসা কর্মীদের তিনি শুধুই পোহা খেতে দেখেছেন। আর এই ‘অদ্ভুত’ খাদ্যাভাস দেখে তাঁর সন্দেহ হয়েছে কর্মীদের জাতীয়তা নিয়ে। তাঁর মনে হয়েছে, নিয়মিত পোহা খাওয়া ওই নির্মাণ কর্মীরা বাংলাদেশের বাসিন্দা।

তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমার এই সন্দেহ হওয়ার দু’দিন পর থেকে আমার বাড়িতে কাজ করতে আসা বন্ধ করে দেয় তাঁরা।’’ বিষয়টি তিনি পুলিশে অভিযোগ জানাননি। তবে সাধারণ মানুষকে অবগত করার জন্যই নাকি তিনি এই ঘটনার উল্লেখ করেছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘বৃহত্তম গণতন্ত্রে বিপদ ডেকে আনছেন’, মোদী ও বিজেপিকে তোপ ব্রিটিশ পত্রিকার

একটি সংবাদ সংস্থার টুইটার হ্যান্ডল থেকে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বক্তব্য বৃহস্পতিবার টুইট করা হয়। তার পরেই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে নেটিজেনদের একাংশ। খ্যাদ্যাভাস দেখে মানুষ চিনে ফেলার ক্ষমতাকে ব্যঙ্গ করে কৈলাসের সমালোচনা করেছেন তাঁরা। বিজেপি নেতার বিতর্কিত বক্তব্যের বিরোধীতা করে পোহার ছবি পোস্ট করছেন। এক জন তো আবার পোহা তৈরির ভিডিয়ো আপলোড করেছেন টুইটারে।

কৈলাসের মন্তব্যকে ব্যঙ্গ করে এক জন লিখেছেন, ‘‘আজ থেকে পোহা অ্যান্টি ন্যাশনাল হল।’’ নীরজ ভাটিয়া নামের এক টুইটার ইউজার লিখেছেন, ‘‘কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের বক্তব্য অনুসারে মহারাষ্ট্রের অধিকাংশ জনই বাংলাদেশের। কারণ তাঁদের সকাল শুরু হয় পোহা ও চা দিয়ে।’’ এ ভাবেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন খাদ্যাভ্যাসের মানুষ জানিয়েছেন, পোহা তাঁদের অন্যতম প্রিয় পদ। অন্য একজন লিখেছেন, ‘‘দেশের প্রধানমন্ত্রী পোশাক দেখে ধর্ম ঠিক করে দেন, আর তাঁর দলের নেতা খাবার দেখেই বুঝে যান কে কোন দেশের!’’

আরও পড়ুন: সোনমের উদ্যোগে মিলে মিশে এক হয়ে গেলেন রবীন্দ্রনাথ ও ফৈজ আহমেদ ফৈজ

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন