Rajeev Chandrasekhar

নাশকতার জন্য বিজয়নের তোষণ নীতি দায়ী: চন্দ্রশেখর

এর্নাকুলমের কনভেনশন সেন্টারে বিস্ফোরণের পরেই বামপন্থী সরকারকে নিশানা করে সমাজমাধ্যমে সরব হয়েছিলেন চন্দ্রশেখরও। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর নাম না করে তাঁর সাম্প্রদায়িক অবস্থানকে কটাক্ষ করেছিলেন বিজয়ন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কোচি শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:১১
Share:

—ফাইল চিত্র।

কেরলের এর্নাকুলমে বিস্ফোরণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন সরকারের সংখ্যালঘু তোষণ নীতিকে দায়ী করলেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় ইলেক্ট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। তাঁর অভিযোগ, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সরাসরি মৌলবাদী উপাদানের উত্থান এবং মৌলবাদের প্রতি চরম সহনশীলতা দেখিয়েছেন।

Advertisement

এর্নাকুলমের কনভেনশন সেন্টারে বিস্ফোরণের পরেই বামপন্থী সরকারকে নিশানা করে সমাজমাধ্যমে সরব হয়েছিলেন চন্দ্রশেখরও। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর নাম না করে তাঁর সাম্প্রদায়িক অবস্থানকে কটাক্ষ করেছিলেন বিজয়ন। জানতে চেয়েছিলেন, কোনও তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে মন্তব্য করছেন! আজ তার জবাব দিয়েছেন চন্দ্রশেখর। এক্স হ্যান্ডলে তিনি পোস্ট করেছেন, ‘আমি হামাসের কথা বলেছিলাম। কিন্তু আমাদের মুখ্যমন্ত্রী, আমার মন্তব্যকে হামাসের সঙ্গে দেশের বৃহত্তম মুসলিম সমাজকে এক করে দেখানোর চেষ্টা করছেন। আমি ও আমার দল বরাবর বলে আসছি, বিজয়নের জমানায় কেরলে মৌলবাদী উপাদানের উত্থান ঘটছে। মৌলবাদের প্রতি সহনশীলতা দেখানো হচ্ছে’।

এখানেই থেমে থাকেননি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘দিল্লিতে বসে ইজ়রায়েলের বিরোধিতা করা, আর কেরলে হামাস জঙ্গিরা নিরীহ খ্রিস্টানদের উপরে হামলা চালাচ্ছে, হত্যা করছে। যুবকদের সমাবেশে উস্কানিমূলক বক্তৃতা করে সন্ত্রাসের প্রেক্ষাপট তৈরি করছে।’’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, কেরলে কংগ্রেস এবং সিপিএম উভয়ের সংখ্যালঘু তোষণ করেছে।

Advertisement

বিজয়ন আজ দাবি করেছেন, কালকের বিস্ফোরণের তদন্ত ঠিক পথেই এগোচ্ছে। পুলিশের দাবি, বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে আত্মসমর্পণকারী ডমিনিক মার্টিন জেরায় জানিয়েছেন, অনলাইনের মাধ্যমে বোমা তৈরি করা শিখেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, গত কালের বিস্ফোরণে চারটি আইইডি ব্যবহার করা হয়। হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে আজ দেখা করেন বিজয়ন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন