সরকারি আধিকারিকদের উপর নেতাদের ‘দাদাগিরি’ অব্যাহত। এ বার কাঠগড়ায় উত্তরপ্রদেশের বরেলী পুরসভার মেয়র উমেশ গৌতম। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, এক স্বাস্থ্য আধিকারিককে রীতিমতো শাসিয়েছেন তিনি। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায়। এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, মেয়র তথা বিজেপি নেতা উমেশ দলবল নিয়ে অফিসে ঢুকে এক জন স্বাস্থ্য আধিকারিককে ধমকাচ্ছেন। সেই সময় আর এক জন স্বাস্থ্য আধিকারিকও ওই ঘরে হাজির ছিলেন। মেয়রকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আপনি দুর্নীতিগ্রস্ত। কত টাকা চাই? পুরো বরেলীকে বরবাদ করে দিচ্ছেন।...(গলা চড়িয়ে) কোনও দুর্নীতি চলবে না। মানুষের কাছে আমাদের জবাবদিহি করতে হয়।’’ মেয়রের এক সঙ্গীকেও গলা চড়াতে শোনা গিয়েছে। ওই আধিকারিককে ঘিরে রেখেছেন মেয়রের সঙ্গীরা।
ওই ঘটনার পর মেয়র-সহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাটি নিয়ে উমেশের কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
গত মাসে মধ্যপ্রদেশের ইনদওরে এক পুর আধিকারিককে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে জেলে গিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের পুত্র আকাশ। ওই ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, কার ছেলে না দেখে, এদের দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া উচিত। সরকারি আধিকারিকদের সম্মানহানি করা বরদাস্ত করা হবে না।
আকাশ বিজয়বর্গীয়ের ঘটনার রেশ কাটতে না-কাটতেই এক ইঞ্জিনিয়ারের গায়ে কাদা ঢেলে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা নারায়ণ রাণের ছেলে তথা কংগ্রেস বিধায়ক নীতেশ রাণে।