কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর করিমগঞ্জ সফর বাতিল করার চক্রান্ত চলছে— অসম সরকারের নাম না করেও এমনই অভিযোগ তুললেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। আজ এ নিয়ে প্রশাসনের প্রতিনিধি ও জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গেও দেখা করেন দলীয় প্রতিনিধিরা।
পরে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি জেলা সভাপতি বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘করিমগঞ্জে এর আগে দেশের কোনও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসেননি। কিন্তু রাজনাথ সিংহের আসন্ন সফর বাতিল করতে ষড়যন্ত্র চলছে। বৃষ্টির অজুহাত দিয়ে বলা হচ্ছে, খারাপ আবহাওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কপ্টার এখানে নামতে পারবে না!’’ চক্রান্তের পিছনে কারা রয়েছে? সরাসরি তার জবাব দেননি বিজেপির ওই নেতা। তবে, তাঁর ইঙ্গিত যে তরুণ গগৈয়ের সরকারেরই দিকে তা বোঝা গিয়েছে। রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে বিশ্বরূপবাবু জানিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর বাতিল
হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে।
প্রশাসনিক তরফে অবশ্য এ বিষয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। রাজনাথের সফরের আগে হত কাল জেলা সদরের সরকারি স্কুলের মাঠে হেলিকপ্টার ওঠানামার মহড়া হয়েছে। মাইজডিহিতে বিএসএফ শিবিরের স্থায়ী হেলিপ্যাডও সে জন্য তৈরি রাখা হয়েছে।
উত্তর করিমগঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক মিশনরঞ্জন দাস বলেন, ‘‘কুশিয়ারা নদীর তীরে দেওপুর থেকে সরিষা পর্যন্ত কাঁটাতারের বেড়া বসানোর কাজ বন্ধ রয়েছে। সেখানে দ্বি-স্তর বেড়া বসালে হাজারখানেক নাগরিক সমস্যায় পড়বেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সে কথা জানানো হবে।’’ তিনি জানান, করিমগঞ্জ জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাতাবাড়ির আনিপুর এলাকায় একটি স্থায়ী সেনা ছাউনি বসানোর দাবিও তোলা হবে। তা ছা়ড়া স্টিমারঘাটে থাকা সিআরপি শিবির সরানো, পাথারকান্দির নারায়ণপুরে নির্মীয়মান সীমা সুরক্ষা বাহিনীর ডিআইজি অফিস নির্মাণের কাজ দ্রুত শেষ করার আর্জিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানাবে জেলা বিজেপি।
২০১৬ সালে অসম বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে জেলা গ্রন্থাগার প্রেক্ষাগৃহে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে রাজনাথের বৈঠক করানোর পরিকল্পনাও রয়েছে বিজেপি নেতাদের। উল্লেখ্য, ৩০ জুন করিমগঞ্জ সফরে আসছেন রাজনাথ।