নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ‘জন-আক্রোশ’ সভার মঞ্চে রাহুল বললেন ২০১৯-য় দেশে জিতবে কংগ্রেস। ফাইল চিত্র।
দলিতদের উপর অত্যাচার নিয়ে নরেন্দ্র মোদী চুপ কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাহুল গাঁধী।
গত কালই কর্নাটকের কালাবুর্গির সভায় কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জন খড়্গের কথা টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘ওই দলিত নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী করার প্রতিশ্রতি দিয়েও কথা রাখেনি কংগ্রেস।’’ জবাবে খড়্গে বলেন, ‘‘মোদীকে আমার আর দলিতদের নিয়ে কুমিরের কান্না কাঁদতে হবে না।’’ এর পরেই আজ দলিতদের উপর অত্যাচারের ঘটনাগুলি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেন রাহুল। বলেন, ‘‘মোদীজি অম্বেডকরের কথা বলেন। কিন্তু খড়্গেজিকে লোকসভায় বলতে দেন না। সারা দেশে দলিত, জনজাতিদের মারছে মোদীর লোকেরা। অথচ প্রধানমন্ত্রীর সাড়া নেই।’’ কর্নাটকের কালগির জনসভায় রাহুলের মন্তব্য, ‘‘মোদীকে ভয় করি না। প্রশ্ন তুলবই। পিছিয়ে যাব না।’’ কর্নাটকে এ দিন রাহুলের ঘোষণা, লোকসভা ভোটে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে ১০ দিনের মধ্যে দেশের চাষিদের ঋণ মকুব করবে।
রাহুল আজও যখন কর্নাটকে, মোদী তখন দিল্লি থেকেই নমো অ্যাপের মাধ্যমে বিজেপির মহিলা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁর দাবি, উন্নয়নের নেতৃত্বে মহিলাদের আনতে চান তিনি। ১২ বছরের কমবয়সি শিশুকন্যাদের ধর্ষণ করা হলে, সর্বোচ্চ ফাঁসির সাজা দেওয়ার সংশোধনী তাঁর সরকারই নিয়ে এসেছে বলে জানান মোদী।
আর কর্নাটকে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেন রাহুল। বলেন, ‘‘মোদীর স্লোগান, ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’। কিন্তু যা পরিস্থিতি তাতে বলতে হচ্ছে, ‘বেটি বাঁচাও বিজেপিকে এমএলএ-সে’।’’ বেঙ্গালুরুকে ‘আবর্জনার শহর’ বলে মোদী কর্নাটককে অপমান করেছেন বলেই অভিযোগ এনেছেন রাহুল। টুইটারে লিখেছেন, ‘‘মোদী সহজেই মিথ্যে গড়তে পারেন। কিন্তু শহর বানানোটা অনেক কঠিন।’’