মায়াবতী। ফাইল চিত্র।
মায়াবতী যখন ইস্তফার হুমকি দিয়ে রাজ্যসভা থেকে বেরোচ্ছেন, তখনও বোঝা যায়নি তিনি সত্যিই কী করবেন। তবে তিনি যাতে ইস্তফা না দেন, সে জন্য দফায় তাঁকে ফোন করেন একাধিক নেতানেত্রী। কিন্তু দলিত নিগ্রহ নিয়ে বলতে গিয়ে রাজ্যসভায় বিজেপির প্রবল বাধায় ক্ষুব্ধ মায়া বিকেলে সত্যিই ইস্তফা দেন।
যদিও সেই ইস্তফা নিয়মমাফিক হয়নি। যে কারণে বিজেপি বলছে, মায়া আসলে নাটক করেছেন। রাজ্যসভায় অরুণ জেটলি বলেন, বিরোধীরা আলোচনা না করে শুধু হট্টগোলই করতে চায়। মায়াবতীর ইস্তফাও নাটক। এমন ইস্তফা দিয়েছেন, যা মঞ্জুর হবে কি না সন্দেহ। জেটলির কথায়, ‘‘আসলে উত্তরপ্রদেশে পায়ের তলায় মাটি সরে গিয়েছে মায়ার। দলের বড় নেতারা ছেড়ে গিয়েছেন। দলিত মুখ হিসেবেও গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছেন। তাই নিজের জমি ফের শক্ত করতে এমনটা করছেন।’’ বিরোধীদের বক্তব্য, কেন মায়াবতীর মতো একজন প্রবীণ নেত্রীকে এমন উগ্র আচরণ করে বাধা দেবেন সরকারের মন্ত্রীরা? গণপিটুনি, কৃষক ছাড়াও বিরোধীদের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের সক্রিয়তা, বেকারি বৃদ্ধি, অমরনাথ-চিন, জিএসটি-র মতো বিষয়ে আলোচনা চেয়ে নোটিস দিয়েছে একজোট বিরোধীরা। সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নিজে বলেছেন, সব বিষয়ে সরকার আলোচনায় রাজি। তা হলে প্রথম থেকেই কেন বিজেপি বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে?
মায়ার নিজের কথায়, ‘‘বিজেপি দলিত রাষ্ট্রপতি দিয়েছে বলে কি মনে করছে, দলিতরা তাদের পক্ষে? আমি যদি দলিত, শোষিতদের নিয়ে বলতে চাই, তা হলে কেন আটকানো হবে?’’