জমি নিয়ে প্রশাসনের গড়িমসিতে ক্ষুব্ধ দিলীপ

শিলচরের জন্য তারামণ্ডল, ড্রাইভিং স্কুল, ডেন্টাল কলেজ মঞ্জুর হয়ে রয়েছে। মিউজিয়ামের জন্যও সরকার অর্থ দিতে সম্মত। কিন্তু এর মধ্যে ক’টি প্রকল্প যে বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে সংশয়ে খোদ বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা শিলচরের বিজেপি বিধায়ক দিলীপকুমার পাল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলচর শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৬ ০৩:০৩
Share:

শিলচরের জন্য তারামণ্ডল, ড্রাইভিং স্কুল, ডেন্টাল কলেজ মঞ্জুর হয়ে রয়েছে। মিউজিয়ামের জন্যও সরকার অর্থ দিতে সম্মত। কিন্তু এর মধ্যে ক’টি প্রকল্প যে বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে সংশয়ে খোদ বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা শিলচরের বিজেপি বিধায়ক দিলীপকুমার পাল।

Advertisement

তিনি সে জন্য জমির দুষ্প্রাপ্যতাকে প্রধান কারণ বলে উল্লেখ করেছেন। আর এ ব্যাপারে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন সোজা জেলা প্রশাসনের দিকে। জেলাশাসক এস বিশ্বনাথন অবশ্য জানিয়েছেন, সব ক’টি প্রকল্পের জন্যই জমির বন্দোবস্ত করা হবে।

দিলীপবাবু ক্ষোভের সুরে বলেন, আগে টাকার জন্য শিলচর শহরে তেমন কোনও উন্নয়নমূলক প্রকল্প আসেনি। যে কোনও দাবি অর্থসঙ্কটের দরুন খারিজ হয়ে যেত। সর্বানন্দ সোনোয়ালের নেতৃত্বে নতুন সরকার জানিয়ে দিয়েছে, ভাল কাজে অর্থ প্রতিবন্ধক হবে না। একে একে এরা তারামণ্ডল, ড্রাইভিং স্কুল, ডেন্টাল কলেজ মঞ্জুর করেছে। কিন্তু এই সব প্রকল্প জমির জন্য আটকে যাচ্ছে।

Advertisement

তাঁর কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উন্নয়ন নিয়ে আলোচনার পরেই বুঝে যাই, টাকা-পয়সার জন্য কোনও কাজ আটকে থাকবে না। নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণে মুখ্যমন্ত্রী নিজেও আগ্রহী। এর পরই জেলা ভূমি বন্দোবস্ত অফিসারের কাছে শিলচরের সমস্ত সরকারি জমির হিসেব চাই।’’ দিলীপবাবুর অভিযোগ, কোথায় কতটা জমি পড়ে রয়েছে, কত বেদখল হয়ে রয়েছে, তার কোনও স্পষ্ট হিসেব তিনি অতিরিক্ত জেলাশাসকের কাছ থেকে পাননি। জমির তথ্য জানাতে ওই অফিসার রহস্যজনক কারণে আগ্রহী ছিলেন না। ফলে তাঁকে ওই পদ থেকে সরিয়ে জেলান্তরি করা হয়। বদলি হয়েছেন আরও কয়েকজন। এর পরও খুব একটা লাভ হয়েছে বলে মনে করেন না ডেপুটি স্পিকার।

তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন এখনও এইসব ব্যাপারে খুব ধীরে চলছে। মঞ্জুর হওয়া প্রকল্পে দ্রুত জমির বন্দোবস্ত করা গেলে পরে একটি মিউজিয়ামও আনা যেতে পারে। বিভাগীয় মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। ইতিবাচক সাড়াও

পেয়েছেন বলে দাবি করেন দিলীপবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘নিউ শিলচরে একটি অডিটোরিয়াম, খেলার মাঠেরও প্রয়োজন। সরকারের কাছে দাবি করলেই হয়তো মঞ্জুর হয়ে যাবে। কিন্তু এর পরই চাই জমি। একই ভাবে নিজের শহরে একটি স্থায়ী প্যাভেলিয়ন তৈরির ভাবনাও তাঁর রয়েছে। পুরনো প্রকল্পগুলি ঠিকঠাক শুরু করা গেলে সে সব নিয়ে সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন বলে দিলীপবাবু জানান।

তবে জমির ব্যাপারে ধীরে এগোনোর অভিযোগ মানতে নারাজ জেলাশাসক এস বিশ্বনাথন। তিনি জানান, গত কালই তারামণ্ডলের জমি খুঁজতে এক সরকারি প্রতিনিধি দল শিলচরে এসেছেন। তাদের তিনটি জমির কথা বলা হয়েছে। তাঁরাই একটিকে বাছাই করবেন। তাঁদের পছন্দ জানালে জেলা প্রশাসন পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তাঁর বক্তব্য, ডেন্টাল কলেজের জন্য শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এর মধ্যেই জমির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

অন্য প্রকল্পগুলির জন্য সরকারি জমি বের করতে কিছুটা সময় লাগবে, সে-কথা জানিয়ে জেলাশাসক বলেন, ‘‘আমরা ল্যান্ড ব্যাঙ্ক তৈরির কাজ হাতে নিয়েছি। কিন্তু অফিসারদের অনেকে বদলি হয়ে গিয়েছেন। তাঁদের শূন্য স্থান এখনও পূরণ হয়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন