তিন রাজ্যে হারের ধাক্কা! ১৭ নয়া পর্যবেক্ষক আনলেন অমিত

এই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ নেই। তবে অমিত এবং নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাত রয়েছে। রয়েছে যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:০৫
Share:

অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র

তিন রাজ্যে সরকার খুইয়েছেন সদ্য। লোকসভা ভোটে তেমন বিড়ম্বনার যাবতীয় সম্ভাবনা এড়াতে মরিয়া বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। সেই লক্ষ্যে আজ একই সঙ্গে সতেরোটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত চণ্ডীগড়ে দলীয় পর্যবেক্ষক বদল করলেন তিনি।

Advertisement

এই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ নেই। তবে অমিত এবং নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাত রয়েছে। রয়েছে যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ। বিজেপিকে সরিয়ে কংগ্রেস যে তিন রাজ্যে সদ্য ক্ষমতায় এসেছে, সেই মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ়ও আছে তালিকায়। এ ছাড়া আছে অন্ধ্র, অসম, বিহার, হিমাচল, ঝাড়খণ্ড, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, ওড়িশা, পঞ্জাব, সিকিম, তেলঙ্গানা এবং উত্তরাখণ্ড।

গুজরাতের নেতা গোবর্ধন ঝড়াপিয়াকে উত্তরপ্রদেশের নতুন পর্যবেক্ষক করেছেন অমিত। আবার উত্তরপ্রদেশের পর্যবেক্ষক হিসেবে যিনি যোগী আদিত্যনাথের কুর্সি দখল মসৃণ করেছিলেন, সেই ওমপ্রকাশ মাথুরকে করা হয়েছে গুজরাতের পর্যবেক্ষক। অনেকের মতে, গুজরাতের গত বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস যে ভাবে বিজেপিকে ধাক্কা দিয়েছিল, লোকসভায় তার পুনরাবৃত্তি রুখতেই মাথুরকে এনেছেন অমিত।

Advertisement

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যোগী-রাজ্যে গোবর্ধনের আগমন নিয়ে। কারণ, লোকসভায় যে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের সব চেয়ে বেশি নজর, সেখানেই ভোট সামলাবেন মোদী-বিরোধী বলে পরিচিত এই নেতা। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়ার ঘনিষ্ঠ গোবর্ধন গুজরাত দাঙ্গার সময়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। দাঙ্গায় জড়িয়েছে তাঁর নামও। ২০০২ সালের বিধানসভা ভোটের পরে গোবর্ধনকে সরিয়েই অমিত শাহকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করেন মোদী। আবার ২০০৫ সালে গুজরাত মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানে নাম ঘোষণার পরে উঠে দাঁড়িয়ে গোবর্ধন জানিয়ে দেন, তিনি মন্ত্রিত্ব গ্রহণে অপারগ। এর পর আলাদা দল গড়ে গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেশুভাই পটেলের শিবিরেও গিয়েছেন তিনি। তবে ভোটে দাগ কাটতে পারেননি। গোবর্ধন বিজেপিতে ফেরেন ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে। পর্যবেক্ষক হিসেবে সেই গোবর্ধনের দুই সহকারীর পদে মধ্যপ্রদেশের নেতা নরোত্তম মিশ্র এবং দলিত নেতা দুষ্মন্ত গৌতমকে রেখেছেন অমিত। জাতপাতের অঙ্কে ভারসাম্যের চেষ্টা প্রকট এখানেও।

ত্রিপুরায় বিজেপির সরকার গড়ার মস্তিষ্ক যাঁকে বলা হয়, সেই সুনীল দেওধরকে অন্ধ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বি মুরলীধরনের সঙ্গে। দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, প্রকাশ জাভড়েকর এবং থাওয়রচন্দ গহলৌত যথাক্রমে রাজস্থান এবং উত্তরাখণ্ডের দায়িত্ব নিচ্ছেন। বিহারে ভূপেন্দ্র যাদব, ছত্তীসগঢ়ে অনিল জৈন। পঞ্জাব (এবং চণ্ডীগড়ে) কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী ‘ক্যাপ্টেন’ অমরেন্দ্র সিংহকে টক্কর দিতে ঘুঁটি সাজাবেন বিজেপির ক্যাপ্টেন অভিমন্যু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন