কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে আঞ্চলিক দলের জোট গঠনের প্রয়াসের বিরুদ্ধে সরব হল কংগ্রেস। দলের নেতা অশোক গহলৌত বুধবার বলেন, ‘‘কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বা অবজ্ঞা করে যাঁরা মোদী-বিরোধিতা করছেন, শীঘ্রই তাঁরা বুঝবেন এতে আসলে বিজেপিরই লাভ হবে।’’
উত্তরপ্রদেশের কৈরানায় ২৮ মে লোকসভার উপনির্বাচনে ফের বিরোধী ঐক্য দেখা যাচ্ছে। কংগ্রেস, এসপি, বিএসপি, আইএনএলডি— সেখানে এককাট্টা হয়েছে। কর্নাটকে আজ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও আঞ্চলিক দলগুলির ঐক্য সমাবেশ দেখা গেল। তার মধ্যেই মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং চন্দ্রবাবু নায়ডু আঞ্চলিক দলগুলির জোটকে কংগ্রেসের প্রস্তাবিত জোটের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।
এই প্রেক্ষিতেই মুখ খুলেছে কংগ্রেস। তবে মমতা বা চন্দ্রবাবুর নাম করেননি গহলৌত। কারণ এই মুহূর্তে কোনও আঞ্চলিক দলকেই বিরূপ করতে চায় না কংগ্রেস। মমতা, চন্দ্রবাবু, অরবিন্দ কেজরীবাল বা কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মতো নেতাদের সঙ্গে রাজ্যস্তরে কংগ্রেসের প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁদের পাশে চাইছেন রাহুল গাঁধী। কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, ‘‘কোনও কোনও আঞ্চলিক নেতা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করেন। এটা দোষের নয়। কিন্তু এঁরা মনে করেন, কংগ্রেস জোটে থাকলে তাঁদের প্রধানমন্ত্রী হওয়া হবে না। এটা ভুল।’’ তার বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী বাছাই হবে ভোটের পরে আসন সংখ্যার নিরিখে। তার আগে বিজেপি-বিরোধী লড়াইয়ে এ নিয়ে তিক্ততা কাম্য নয়।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের মতে, জোট গঠন, আসন সমঝোতা, এ সব আলোচনাসাপেক্ষ। কিন্তু বিজেপি-বিরোধী লড়াইয়ে বিভাজনের বার্তা দিলে চলবে না! তাঁর কথায়, ‘‘বেশ কিছু বিরোধী নেতা বা তাঁদের আত্মীয়দের বিরুদ্ধে নানা রকম তদন্ত শুরু করে কেন্দ্র ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করছে। আমরা তাঁদের বলছি, ভয় পাবেন না। আপস করলে ওরা আরও পেয়ে বসবে।’’
গহলৌত বলেন, মানুষের দাবি হল, বিজেপি-বিরোধী সব দলকে এক জায়গায় এসে দাঁড়াতে হবে। কৈরানায় যা হয়েছে, আজ কর্নাটকে যা হল, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটেও ঠিক সেটাই হবে।