ধাক্কা লাগেনি! বোঝাতে মরিয়া বিজেপি

লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয় বার আরও বেশি শক্তি নিয়ে জিতে এসেছেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ২০১৭ সাল পর্যন্ত রাজ্যে-রাজ্যে বিজেপির শক্তি বাড়ছিল। তার পর থেকে তা কমতে শুরু করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:৪৯
Share:

একাধিক রাজ্য হাতছাড়া বিজেপির।

কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার আগে নরেন্দ্র মোদী স্লোগান তুলতেন, ‘কংগ্রেস-মুক্ত ভারত’। কিন্তু এখন যে ভাবে একের পর এক রাজ্য বিজেপির হাতছাড়া হচ্ছে, কংগ্রেস পাল্টা বলছে— ভারত তো ‘বিজেপি-মুক্ত’ হওয়ার দিকে এগোচ্ছে!

Advertisement

লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয় বার আরও বেশি শক্তি নিয়ে জিতে এসেছেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ২০১৭ সাল পর্যন্ত রাজ্যে-রাজ্যে বিজেপির শক্তি বাড়ছিল। তার পর থেকে তা কমতে শুরু করেছে। বছর দুয়েক আগেও দেশের ৭১ শতাংশ জনসংখ্যার উপরে বিজেপির ‘নিয়ন্ত্রণ’ ছিল। এখন তা ৪০ শতাংশের নীচে। এ দিন কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘যখন অহঙ্কার চূর্ণ হয়, তখন এমনই দশা হয়।’’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্ব পেলেও বিজেপির সভাপতি এখনও অমিত শাহ। ফলে রাজ্যে রাজ্যে বিজেপির ক্ষয়ের দায় তাঁর উপরেও বর্তায়। বিশেষ করে বিজেপি শিবির থেকেই এত বছর ধরে শাহকে ‘চাণক্য’ বলে তুলে ধরা হয়েছে। তাই আজ অমিতই আত্মপক্ষ সমর্থনে যুক্তি দিলেন।

Advertisement

এক বেসরকারি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে অমিত আজ সেই প্রেক্ষিতেই উত্তর দেন। বলেন, ‘‘কোনও পর্যায়ে উদ্ধব ঠাকরেকে মুখ্যমন্ত্রী পদের আশ্বাস দেওয়া হয়নি। ভোটের আগে একসঙ্গে লড়ে গরিষ্ঠতা পেয়েও শিবসেনাই জনমত ভঙ্গ করেছে। যেন তেন প্রকারে বিজেপিকে হারাতে আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে সকলে একজোট হয়েছে।’’

কিন্তু এটা ধাক্কা নয়? অজিত পওয়ারকে পাঠিয়ে বিজেপিকে বিভ্রান্ত করাটাই চাল ছিল না তো শরদ পওয়ারের? অমিতের জবাব, ‘‘ভোটে হারলে ধাক্কা হত। সঙ্গী চলে গেলে কী করব? আর যদি কেউ বিভ্রান্ত করে থাকেন, তাঁকেই প্রশ্ন করা উচিত। যে বিভ্রান্ত হয়েছে, যদি আদৌ হয়ে থাকে, তাকে প্রশ্ন করা উচিত নয়।’’ আত্মবিশ্বাসে কোথাও যে চিড় ধরেছে, অমিতের কথায় সেটা কিন্তু স্পষ্ট। বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি মোর্চার প্রধান অমিত মালব্যরও বার্তা, ‘‘বিরোধীদের জয় সে ভাবে দাগ কাটার মতো নয়। আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব।’’

বিজেপির হিসেব, জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করতে পিডিপির সঙ্গে সম্পর্ক বিজেপিই ছেদ করেছে। রাজস্থানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে কংগ্রেসকে হিমশিম খেতে হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে তিন বার বিজেপি ক্ষমতায় থাকার পরও সামান্য ব্যবধানে জয় হয়েছে কংগ্রেসের। ছত্তীসগঢ়ে তিন বারের পরে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়ার মুখে পড়েছে বিজেপি। ওড়িশায় লোকসভা-বিধানসভায় ভোট শতাংশ বেড়েছে। মহারাষ্ট্র, কর্নাটকে তারা একক বড় দল। হরিয়ানা তারা ধরে রেখেছে, তামিলনাড়ুতে জোটের সরকার আছে, আর তেলঙ্গানায় দ্বিতীয় দল হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন