ডিজিটাল হবে বিজেপির চাঁদা

আপনি আচরি ধর্ম... ! তহবিল জোগাড়ে এ বার ‘ডিজিটাল ডোনেশন’ অভিযান শুরু করতে চলেছে বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৭ ০৪:৪৩
Share:

অরুণ জেটলি।

আপনি আচরি ধর্ম... !

Advertisement

তহবিল জোগাড়ে এ বার ‘ডিজিটাল ডোনেশন’ অভিযান শুরু করতে চলেছে বিজেপি। অনলাইন বা অ্যাপের মতো ডিজিটাল মাধ্যমে বিজেপিকে চাঁদা দিতে আবেদন জানানো হবে দলের সমর্থকদের কাছে। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির উদ্যোগে এই অভিযান শুরু করতে চলেছে দল।

ভোটের খরচ এবং রাজনৈতিক দলগুলির তহবিল সংগ্রহে স্বচ্ছতা আনতে বাজেটে নির্বাচনী বন্ড চালুর ঘোষণা করেছেন জেটলি। নগদে চাঁদার সর্বোচ্চ সীমা ২০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ২ হাজার টাকা করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, মোদী সরকার যদি নোট বাতিল করে দেশবাসীকে ডিজিটাল লেনদেনের উপদেশ দিতে পারে, তা হলে রাজনৈতিক দলগুলি কেন ডিজিটাল বা অনলাইনে চাঁদা নেবে না?

Advertisement

নির্বাচনী খরচের সংস্কার বিষয়ে নেহরু মেমোরিয়াল ও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রিসার্চ ফাউন্ডেশনের এক অনুষ্ঠানে জেটলি আজ বলেন, ‘‘আমার প্রথম পছন্দ অবশ্যই ডিজিটাল মাধ্যম। কারণ রসিদের বই হাতে বাড়ি বাড়ি বা দোকানে দোকানে ঘুরে চাঁদা তোলার দিন চলে গিয়েছে। যে কোনও অনুষ্ঠান হলে নগদে চাঁদা তোলা হয়। তাই ২ হাজার টাকা পর্যন্ত অনুমতি দেওয়া রয়েছে। কিন্তু এখন রাজনৈতিক কর্মীরা সেই সময় দিতে পারেন না। তাই শিল্প সংস্থা বা বড় ব্যবসায়ীদের থেকে মোটা টাকা চাঁদা তোলার দিকে নজর গিয়েছে। এর বিকল্প হতে পারে ডিজিটাল পদ্ধতিতে চাঁদা সংগ্রহের অভিযান। বিজেপি সেই কাজটি শুরু করছে।’’

মোদী সরকার নির্বাচনী বন্ড চালু করে নির্বাচনী খরচে স্বচ্ছতা আনার কথা বললেও বাম ও আঞ্চলিক দলগুলি এর বিরোধী। তাঁদের যুক্তি, এতে বড় দলের সুবিধে হবে। তাই সরকারি খরচে নির্বাচনের দাবি উঠেছে। জেটলি বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত ভাবে আমি এর বিরোধী নই। এটা সম্ভাব্য বিকল্প। এবং এ বিষয়ে আলোচনা হতেই পারে। তবে ভোটের বাইরেও রাজনৈতিক দলগুলির অন্য অনেক খরচ থাকে। এরই সঙ্গে দু’টি সতর্কবার্তাও দিয়েছেন জেটলি। এক, অনেকেই বলতে পারেন, রাজনৈতিক নেতাদের প্রচারের খরচের জন্য কেন আমজনতার উপর বাড়তি করের বোঝা চাপবে! দুই, সরকারের দেওয়া অর্থে না কুলোলে তখন ফের টাকা জোগাড়ের চেষ্টা হবে। কারণ, নেতাদের হেলিকপ্টার-বিমানের খরচ সরকার জোগাতে পারবে না। এই সূত্রে জেটলির মন্তব্য, ‘‘আমার ধারণা, ইন্দ্রজিৎ গুপ্তের সংসদীয় কমিটি যখন সরকারি খরচে ভোটের সুপারিশ করেছিল, তখন আন্দাজ করতে পারেনি ভোটের খরচ এত বেড়ে যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন