বিজেপি এবং আরএসএসের মতাদর্শকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এ বার দেশের প্রতিটি জেলায় লাইব্রেরি তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। দিল্লিতে বিজেপি এবং আরএসএসের সমন্বয় বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
দলের মতাদর্শকে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই পদক্ষেপ বলে জানান বিজেপি সভাপতি। তাঁর প্রশ্ন, “আগামী দশ বছর পরে মিটিং, মিছিলের ভবিষ্যত কী? ইন্টারনেটের যুগে সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব যে ভাবে বাড়ছে, সেখানে মিটিং মিছিলের মতো চিরাচরিত আন্দোলনের গুরুত্ব কমবে। তাই ডিজিটাল যুগের সঙ্গে পাল্লা দিতে এবং দলীয় মতাদর্শকে ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষণ করতে জেলায় জেলায় পাঠাগার তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
লাইব্রেরিগুলিতে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বা দীনদয়াল উপাধ্যায়দের জীবনীর পাশাপাশি ভারতের ইতিহাস, বিজেপির ইতিহাসও থাকবে। আর থাকবে প্রচুর ই-বুক। লাইব্রেরি থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জেলার নেতারা বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের বক্তব্যও জানাতে পারবেন।
কিন্তু শুধুই কি মতাদর্শ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া বা জেলার নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহারের জন্য তৈরি হচ্ছে লাইব্রেরিগুলি?
বিজেপিরই একটি সূত্রের দাবি, এর পিছনে রয়েছে অন্য অঙ্ক। লাইব্রেরি তৈরির জন্য প্রয়োজন প্রচুর জমির। জেলার বিজেপি নেতারা সেই জমি কিনে আধুনিক সাজ সরঞ্জামে সাজিয়ে তুলবেন সেগুলি। অর্থ এবং জমির মেলবন্ধনে তাই এখন থেকেই দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছেন বিরোধীরা।