BJP

আজম খানের গড় রামপুর হারাল সমাজবাদী পার্টি, প্রথম বার জয়ী বিজেপি

২০১৯ সালে একটি বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন আজম। তার পরেই রামপুরের বিধায়ক পদ খোয়াতে হয় সমাজবাদী পার্টির এই নেতাকে। ওই আসনে সোমবার ছিল উপনির্বাচন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২২ ২০:৪৬
Share:

বিধানসভা উপনির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের সেই রামপুর আসন বিজেপির কাছে খোয়ালো সমাজবাদী পার্টি। — ফাইল ছবি।

২০০২ সাল থেকে আসনটি দখলে রেখেছিলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খান এবং তাঁর পরিবার। এ বার বিধানসভা উপনির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের সেই রামপুর আসন বিজেপির কাছে খোয়ালো সমাজবাদী পার্টি। এই প্রথম সেখানে জিতল বিজেপি। অখিলেশের দলের অভিযোগ, ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দিয়েছে বিজেপি। মারধরও করা হয়েছে। পুলিশেরও যোগ রয়েছে। অভিযোগ মানেনি বিজেপি।

Advertisement

২০১৯ সালে একটি বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন আজম। তার পরেই রামপুরের বিধায়ক পদ খোয়াতে হয় সমাজবাদী পার্টির এই নেতাকে। ওই আসনে সোমবার ছিল উপনির্বাচন। ভোট পড়েছে ৪০ শতাংশ। জয়ী হয়েছেন বিজেপির আকাশ সাক্সেনা। ভোট পেয়েছেন ৬২ শতাংশ। সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী ছিলেন আজম-ঘনিষ্ঠ আসিম রাজা। তিনি পেয়েছেন ৩৬.১৬ শতাংশ ভোট।

রামপুর বিধানসভা আসনে জয়কে বড় পাওনা হিসাবেই দেখছে বিজেপির বড় অংশ। এই কেন্দ্রের ভোটারদের বড় অংশ মুসলিম। রামপুর বিধানসভা আসনে কখনও জেতেনি বিজেপি। ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন দলের টিকিটে জিতেছিলেন আজম। ২০০২ সাল থেকে রামপুরে কখনও তিনি কখনও তাঁর আত্মীয়েরা জিতেছিলেন। আজমের আত্মীয়দের অভিযোগ, ওই কেন্দ্রে ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। হুমকি দিয়েছে, হেনস্থা করেছে ভোটারদের। সমাজবাদী পার্টিও আঙুল তুলেছে পুলিশের দিকে। দাবি করেছে, তাদের সমর্থকদের ভোটদানে বাধা দিয়েছে। এক সমাজবাদী বিধায়কের অভিযোগ, ‘‘গণতন্ত্রকে লজ্জিত করা হয়েছে।’’

Advertisement

রাজ্যের বিজেপি সরকার এ সব মানেনি। পরিষদীয় মন্ত্রী সুরেশকুমার খন্না বলেন, ‘‘ওদের (সমাজবাদী পার্টি) কাজ হল শুধু চিৎকার করা। রাজ্যে আইনের শাসন রয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন