BJP

‘অবৈধ’ ভাবে মেয়র পদে জয়ী বিজেপি, অভিযোগ আপের

চণ্ডীগড়ে গত কাল মেয়র পদে নির্বাচন ছিল। তাতে আপের অঞ্জু কাটিয়ালকে ১ ভোটে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন বিজেপির সরবজিৎ কউর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চণ্ডীগড় শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২২ ০৬:৫৮
Share:

প্রতীকী চিত্র।

চণ্ডীগড় পুরসভায় মেয়র পদে জয়ী হয়েছে বিজেপি। কাল মাত্র ১ ভোটের ব্যবধানে তারা পরাজিত করেছে আম আদমি পার্টি (আপ)-এর মেয়র প্রার্থীকে। আপের অভিযোগ, ‘অবৈধ’ ভাবে জয়ী হয়েছে বিজেপি। দলের টুইটার হ্যান্ডলে আপ লিখেছে, ‘গণতন্ত্রের এই মৃত্যু অত্যন্ত বেদনাদায়ক’।

Advertisement

চণ্ডীগড়ে গত কাল মেয়র পদে নির্বাচন ছিল। তাতে আপের অঞ্জু কাটিয়ালকে ১ ভোটে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন বিজেপির সরবজিৎ কউর। উভয়ের ১৪টি করে ভোট পান। কিন্তু এক আপ কাউন্সিলরের ভোট বৈধ নয় বলে বাতিল করা হয়। ফলে শেষ বেলায় বাজিমাত করে বিজেপি। ৩৫ আসনের পুরসভায় আপ ১৪, বিজেপি ১২, কংগ্রেস আট এবং শিরোমণি অকালি দল ১টি আসনে জয়ী হয়। কংগ্রেস এবং অকালি দল মেয়র নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেনি।

আপের অভিযোগ, ‘অবৈধ ভাবে’ তাদের একটি ভোট বাতিল করা হয়েছে। অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল টুইট করে করে বলেছে, ‘গণতন্ত্রের এই মৃত্যু অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আপ বেশি আসন জেতা সত্ত্বেও জেলাশাসক বেআইনি ভাবে বিজেপির মেয়র প্রার্থীকে জয়ী বলে ঘোষণা করেছেন। আপের নেতারা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে জেলাশাসকের দফতরে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি দেখা করেননি’। পঞ্জাবের আপ বিধায়ক জার্নেল সিংহের অভিযোগ, আপকে হারাতে মেয়র নির্বাচনে বিজেপি এবং কংগ্রেসের ‘গোপন আঁতাঁত’ হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘যখন দেখা গেল বিজেপির আসন সংখ্যা কম, তখন কংগ্রেস সরাসরি বিজেপিকে সহযোগিতা করল। এর পরে আমলাতন্ত্রের সাহায্যে মেয়র ভোটে জিতল বিজেপি। বৈধ ভোটকে খর্ব করে এটা গণতন্ত্রকে হত্যার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।’’

Advertisement

পুর নির্বাচনে পদ্ম-প্রার্থীরা ১২টি আসনে জয়ী হলেও পরবর্তী সময় কংগ্রেস কাউন্সিলর হরপ্রীত কউর বাবলা বিজেপিতে যোগ দেন। ফলে বিজেপির ভোট বেড়ে হয় ১৩। পুরসভার প্রাক্তন সরকারি প্রতিনিধি হিসাবে বিজেপি সাংসদ কিরণ খেরের ভোটদানের অধিকার ছিল। তাঁর ভোটে পদ্মশিবিরের ভোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৪। ফলে আপ ও বিজেপির উভয়ের ভোট সংখ্যা একই হয়। কিন্তু ভোটগ্রহণের পরে জানানো হয়, এক আপ প্রতিনিধির ভোট বৈধ নয় বলে বাতিল করা হয়েছে। ফলে ১ ভোটে জয়ী হয় বিজেপি।

এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন আপের জয়ী জনপ্রতিনিধিরা। নির্বাচতি সরবজিৎকে মেয়রের চেয়ারে বসতেও বাধা দেন তাঁরা। সিনিয়র ডেপুটি মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র পদেও জয়ী হয়েছেন বিজেপির প্রার্থীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন