ভোটের মাধ্যমে করিমগঞ্জ জেলা বিজেপি সভাপতি নির্বাচিত করা হবে না। এটা প্রায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু জেলা বিজেপি সভাপতি হিসেবে বিশ্বরূপ ভট্টাচার্যকে ফের চান না দলের নেতা-কর্মীদের একাংশ। সভাপতি পদে পরিবর্তন চাইছেন তাঁরা।
বিজেপিতে নির্বাচন ঘিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই বলে বিশ্বরূপবাবু সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবিক ক্ষেত্রে তিনিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঊর্ধ্বে উঠতে পারেননি বলে বিজেপির একাংশের অভিযোগ। করিমগঞ্জ জেলা বিজেপির একটি সূত্র জানিয়েছে, বিশ্বরূপবাবু স্বপদে বহাল থাকতে নবনির্বাচিত মণ্ডলের ৬ জন সদস্যকে নিয়ে গুয়াহাটিতে রয়েছেন। আজ তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার সঙ্গে দেখা করে ফের তাঁকে ওই পদে বহাল রাখার আর্জি জানান। কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাঁর কথায় আমল দেননি।
দলীয় সূত্রের দাবি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী করিমগঞ্জের জেলা সভাপতিকে জানিয়ে দিয়েছেন— জেলা সভাপতি নির্বাচনের বিষয়ে মন্ত্রী বা দলের শীর্ষ নেতারা হস্তক্ষেপ করবেন না। নির্বাচিত সদস্যরা যাঁকে চাইবেন, তাঁকেই সভাপতি করা হবে। দলীয় সূত্রে খবর, পরিবর্তনের পক্ষে থাকা সদস্যরা এ দিন শনবিল এলাকায় এক গোপন বৈঠক করেন। বৈঠকের আলোচনার বিষয় যাতে প্রকাশ্যে না আসে সে জন্য প্রত্যন্ত এলাকায় বৈঠক করা হয়। করিমগঞ্জের জেলা সভাপতি নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ২০। ৬ জন সদস্য বিশ্বরূপবাবুর সঙ্গে গুয়াহাটিতে থাকলেও, ১৪ জন সদস্য শনবিল এলাকার বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে হাজির ছিলেন ১২ জন সদস্য। বিশ্বরূপবাবুর বিরোধী শিবিরের বক্তব্য, যে দু’জন আজকের সভায় আসেননি, তাঁরাও পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দেবেন।