ওড়িশায় অবরোধ, ট্রেন থমকে ভোগান্তি

মহানদীর জল নিয়ে ওড়িশা ও ছত্তীসগঢ়ের মধ্যে টানাটানি শুরু হয়েছে। ছত্তীসগঢ়ে মহানদীর উপরে বাঁধ তৈরিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার ওড়িশায় বিভিন্ন স্টেশনে রেল অবরোধে নামে কংগ্রেস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৬ ০৩:৫৭
Share:

মহানদীর জল নিয়ে ওড়িশা ও ছত্তীসগঢ়ের মধ্যে টানাটানি শুরু হয়েছে। ছত্তীসগঢ়ে মহানদীর উপরে বাঁধ তৈরিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার ওড়িশায় বিভিন্ন স্টেশনে রেল অবরোধে নামে কংগ্রেস। সেই অবরোধের জেরে হাওড়া থেকে দক্ষিণ ভারতগামী এবং দক্ষিণ থেকে হাওড়ামুখী ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে যায়। পুরীগামী এবং পুরী থেকে হাওড়া আসার বেশ কিছু ট্রেন আটকে পড়ে বিভিন্ন স্টেশনে। শ্রাবণ-শেষের প্রচণ্ড গরমে পাঁচ ঘণ্টা আটকে থাকায় নাকাল হন যাত্রীরা।

Advertisement

মহানদীতে ওই বাঁধ তৈরি নিয়ে ওড়িশার সঙ্গে ছত্তীসগঢ়ের মধ্যে বিরোধ বেধেছে। ওই বাঁধ হলে ওড়িশার কৃষকেরা জল পাবেন না— এই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে সেখানকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। ওই নির্মাণকাজের প্রতিবাদেই এ দিন গোটা ওড়িশাতেই ১২ ঘণ্টার বন্‌ধের ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস।

দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খবর, ভোর
সাড়ে ৪টেয় অবরোধ শুরু হয় ভুবনেশ্বরে। পরে ভদ্রক, খুরদা রোড, বালেশ্বর, জলেশ্বর, বারিপদা-সহ অনেক স্টেশনেই তা ছড়িয়ে পড়ে। অবরোধ চলে বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। ১২টি মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়ে। তার মধ্যে হাওড়া-পুরী-সাঁতরাগাছি প্যাসেঞ্জার, খড়্গপুর-ভুবনেশ্বর, পুরী-নয়াদিল্লি নন্দনকানন, হাওড়া-পুরী ধৌলি, তিরুঅনন্তপুরম-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসও ছিল। হাওড়ামুখী ট্রেন দেরি করায় হাওড়া থেকে পুরী ও দক্ষিণগামী কিছু ট্রেন দেরিতে ছেড়েছে।

Advertisement

সপ্তাহ শেষের ছুটির সঙ্গে ছিল স্বাধীনতা দিবসের ছুটি। অনেকেই পুরী গিয়েছিলেন বেড়াতে। ফেরার পথে দুর্ভোগে বেড়ানোর মজাটাই মাটি হয়েছে বলে জানান অনেক যাত্রী। তাঁদের বক্তব্য, যে-সব ট্রেন আটকে পড়েছিল, তার বেশ কয়েকটিতেই প্যান্ট্রিকার নেই। এবং যে-সব স্টেশনে ট্রেন আটকানো হয়েছে, সেগুলিরও পরিকাঠামো ভাল নয়। ফলে চা, জল, খাবার— কিছুই মেলেনি। কেন ট্রেন দাঁড়িয়ে রয়েছে, যাত্রীদের তা জানানোর জন্য রেলের তরফে কোনও ঘোষণাও করা হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement