বৃষ্টিতে জাতীয় সড়কে চলছে নৌকা

জাতীয় সড়কে চলছে নৌকা! জলের দু’ধারে লরির দীর্ঘ সারি। এমনই ছবি হাইলাকান্দির পাঁচগ্রাম এলাকার। এক টানা বৃষ্টিতে জাতীয় সড়কে জল জমেছে। তাতেই বিপত্তি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাইলাকান্দি শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৫ ০৩:০৪
Share:

নদী নয়। বৃষ্টিতে এমনই হাল জাতীয় সড়কের। মঙ্গলবার হাইলাকান্দির পাঁচগ্রামে। ছবি: অমিত দাস।

জাতীয় সড়কে চলছে নৌকা!

Advertisement

জলের দু’ধারে লরির দীর্ঘ সারি। এমনই ছবি হাইলাকান্দির পাঁচগ্রাম এলাকার। এক টানা বৃষ্টিতে জাতীয় সড়কে জল জমেছে। তাতেই বিপত্তি।

গত কাল বিকেল থেকে ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কে পাঁচগ্রাম-কালীবাড়ি এলাকার বিস্তীর্ণ অংশে জল জমতে শুরু করে। আজ সকাল থেকে ওই রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শিলচর-বদরপুর ও হাইলাকান্দি–করিমগঞ্জের মধ্যে যোগাযোগ তার জেরে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়েক বছর ধরে এই সমস্যা চলছে। কাটাখাল নদীর তীরবর্তী পাচগ্রাম এলাকায় নদীর ভাঙন মেরামতির জন্য প্রতি বছর টাকা বরাদ্দ করা হলেও কাজের কাজ কিছু হয় না। কালিনগর-পাঁচগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের আঞ্চলিক সদস্য এবং বিজেপির হাইলাকান্দি জেলা যুব মোর্চার সভাপতি সরোজ সেন অভিযোগ করেন, পাচগ্রামের নদী ভাঙন শাসক দলের কাছে ‘সোনার ডিম পাড়া হাঁস’ হয়ে গিয়েছে। এফডিআর-সহ বিভিন্ন প্রকল্পে ভাঙন মেরামতির জন্য কোটি কোটি বরাদ্দ করা হলেও, পরে সেই টাকার হদিস মেলে না। ভাঙন রুখতে হেলদোল নেই প্রশাসনের। জেলাশাসক বরুণ ভুঁইঞা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত জেলাশাসক অমলেন্দু রায় ওই এলাকায় পরিদর্শন করেছেন। যত দিন না জাতীয় সড়ক থেকে জল নামছে, তত দিন পাঁচগ্রাম কাগজকলের মধ্যে একটি বিকল্প রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলবে।

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এক সময় ওই সড়কটির দেখভালের দায়িত্ব ছিল বিআরটিএফ-র উপর। তার পর ওই দায়িত্ব যায় পূর্ত বিভাগের হাতে। মার্চ মাস থেকে রাস্তার দেখভালের দায়িত্ব গিয়েছে ‘ন্যাশনাল হাইওয়ে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড’-এর কাছে। অভিযোগ, দু’দিন ধরে ওই রাস্তায় জল থাকায় মানুষ দুর্ভোগের মুখে পড়লেও দেখা মিলছে না সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তাদের। এ নিয়ে ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

জাতীয় সড়ক বন্ধ হওয়ায় উদ্বিগ্ন ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা আজ হাইলাকান্দির জেলাশাসকের কাছে স্মারকপত্র দিয়েছে। তাতে এই সমস্যার সমাধান দাবি করা হয়েছে। এ দিন জেলা বিজেপি সভাপতি ক্ষীতীশরঞ্জন পাল, সম্পাদক স্বপন পাল, যুব মোর্চা সভাপতি সরোজ সেন, সাধারণ সম্পাদক সৌরভ শর্মা মজুমদার, প্রীতিশ দাস, প্রদীপ দেব, দয়াল মহন্তরা অতিরিক্ত জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে স্মারকপত্র তুলে দেন। পাঁচগ্রামে নদী ভাঙন দ্রুত মেরামত করা না হলে বিজেপি যুব মোর্চা বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করবে বলে প্রশাসনকে দলের পক্ষে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন