৬ পর্যটকের কফিনবন্দি দেহ অসমে

অসমে পৌঁছল নেপালের ভূমিকম্পে নিহত ৬ পর্যটকের দেহ। কাঠমাণ্ডু থেকে বিমানে দেহগুলি দিল্লি আনা হয়। আজ দুপুর সওয়া ১টা নাগাদ, বিশেষ বিমানে গুয়াহাটি বিমানবন্দরে নামে জয়শ্রী বরা, হেমা শইকিয়া, ভনিতা ডেকা, ভূমিকা দাস, রীনা দাস ও কল্পনা অধিকারীর কফিনবন্দি দেহ। রাজ্য সরকারের তরফে দেহগুলি সকলের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া ও সৎকারের ব্যবস্থা করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:১৪
Share:

শেষ ছোঁয়া। ভূমিকম্পে মৃত পর্যটকের কফিন জড়িয়ে শোকার্ত পরিজন। বুধবার গুয়াহাটিতে। ছবি: উজ্জ্বল দেব

অসমে পৌঁছল নেপালের ভূমিকম্পে নিহত ৬ পর্যটকের দেহ। কাঠমাণ্ডু থেকে বিমানে দেহগুলি দিল্লি আনা হয়। আজ দুপুর সওয়া ১টা নাগাদ, বিশেষ বিমানে গুয়াহাটি বিমানবন্দরে নামে জয়শ্রী বরা, হেমা শইকিয়া, ভনিতা ডেকা, ভূমিকা দাস, রীনা দাস ও কল্পনা অধিকারীর কফিনবন্দি দেহ।

Advertisement

রাজ্য সরকারের তরফে দেহগুলি সকলের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া ও সৎকারের ব্যবস্থা করা হয়। তবে, পর্যটক পদ্মাবতী মজুমদারের নাম সরকারি মৃতের তালিকায় থাকলেও, তাঁর দেহ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তা ছাড়া অসমের কয়েক জন এখনও নিখোঁজ। খোঁজ মেলেনি নিখোঁজ অরুণাচলের একাধিক বাসিন্দার।

অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ এই ঘটনার জেরে তাঁর অস্ট্রেলিয়া সফর কাটছাঁট করে আগামী কাল রাজ্যে ফিরছেন। নেপালে আটকে পড়া অসমবাসীদের সাহায্য করতে অসম পুলিশ একটি বিশেষ বিপর্যয় মোকাবিলা দল গড়েছে। তিন আইপিএস— আইজি এস এন সিংহ, ৭ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কম্যান্ডান্ট দেবজিৎ মুখোপাধ্যায় ও গুয়াহাটির ডিসি (প্রশাসন) দেবরাজ উপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন দলে রয়েছেন রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর জওয়ান, চিকিৎসক, ৬ জন চালক, নার্স। কয়েকটি গাড়িতে তাঁরা কাঠমাণ্ডু রওনা হয়েছেন।

Advertisement

অন্য দিকে, মিজোরাম থেকে ধর্ম প্রচার ও সেবাকাজের উদ্দেশে নেপালে যাওয়া খ্রিস্টান মিশনারিদের দলটি নেপাল থেকে ফিরতে রাজি হননি। মিজোরাম প্রেসবিটেরিয়ান গির্জা ও ব্যাপটিস্ট গির্জার তরফে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পের সময় মিজোরামের অন্তত ৫০ জন মিশনারি একা বা সপরিবারে নেপালে ছিলেন। মিজোরাম সরকার তাঁদের ভারতে ফেরানোর চেষ্টা করে। কিন্তু, মিজো মিশনারিরা জানিয়েছেন, এই বিপর্যয়ে তাঁরা নেপালবাসীর পাশে থাকতে চান। নেপাল মিশন বোর্ড-এর ফিল্ড সচিব রেভারেন্ড লালরিংতুয়াঙ্গা গেংটের আবাসের বাইরে তাঁরা তাঁবু করে রয়েছেন।

নিহত জঙ্গি। যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১ এপিডিপিএফ জঙ্গির মৃত্যু হল. গ্রেফতার হল ছয় জঙ্গি। অরুণাচল পুলিশ সূত্রে জানানো হয়, চৌখাম, ডিউন ও নামসাই এলাকায় এপিডিপিএফ জঙ্গিরা ঘাঁটি গেড়ে তোলাবাজি চালাচ্ছিল। যৌথ বাহিনী এলাকায় অভিযান শুরু করে। মিয়াও থানা এলাকার দেবানে জওয়ানদের দেখে জঙ্গিরা গুলি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এক জঙ্গি মারা যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন