— প্রতীকী চিত্র।
ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুরে উদ্ধার হল আরও ছয় মাওবাদীর দেহ। সেখানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত মাওবাদীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮। বৃহস্পতিবার পুলিশের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। বুধবারের ওই সংঘর্ষে রাজ্য পুলিশের জেলা রিজার্ভ গার্ডের তিন জওয়ানেরও মৃত্যু হয়েছে।
ছত্তীসগঢ়ের ইনস্পেকটর জেনারেল (আইজি) অফ পুলিশ সুন্দররাজ পি জানিয়েছেন, বুধবার প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময় চলেছে মাওবাদীদের। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১২ জন মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত আরও ছ’জনের দেহ মিলেছে ওই এলাকায়। তার পরেই নিহত মাওবাদীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই মাওবাদীর সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপল্স লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র গতিবিধির খবর পেয়েই যৌথবাহিনী ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল। সংঘর্ষস্থল থেকে ১২ মাওবাদীর দেহের পাশাপাশি সেল্ফ লোডিং রাইফেল (এসএলআর), ইনসাস, .৩০৩ রাইফেল এবং বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। দন্তেওয়াড়া এবং বিজাপুরের ডিআরজি, রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং কোবরা (কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের কমান্ডো বাহিনী) সদস্যেরা এই অভিযানে অংশ নেন।
চলতি বছর ছত্তীসগঢ়ে ২৭৫ জন নেতা-কর্মী নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন, মাওবাদী সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজু ওরফে গগন্না, পলিটব্যুরো সদস্য রামচন্দ্র রেড্ডি ওরফে চলপতি, তাঁর স্ত্রী রবি ভেঙ্কট লক্ষ্মী চৈতন্য ওরফে অরুণা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নরসিংহচলম ওরফে সুধাকর, পিএলজিএ-র শীর্ষ কমান্ডার মাধভী হিডমার মতো শীর্ষ নেতা-নেত্রীরা। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের উপস্থিতিতে গড়ছিরৌলিতে আত্মসমর্পণ করেছেন নিহত মাওবাদী নেতা মাল্লোজুলা কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজির ভাই মাল্লোজুলা বেণুগোপাল রাও ওরফে ভূপতি ওরফে সোনু। মাওবাদী সংগঠনে ‘তাত্ত্বিক মস্তিষ্ক’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি।