প্রতীকী ছবি।
ধাক্কা মারার পর এক ব্যক্তির দেহকে ৭০ কিলোমিটার টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গেল বাস! বাসের নীচে আটকে ছিল দেহটি, অথচ চালক নাকি টেরই পাননি। পুলিশের কাছে অন্তত তেমনটাই দাবি করেছেন তিনি।
বাসটি চালাচ্ছিলেন কর্নাটক পরিবহণ সংস্থার (কেএসআরটিসি) বাসচালক মহিউদ্দিন। তামিলনাড়ুর কুন্নুর থেকে মহীশূর-মান্ড্য হয়ে চানাপাটনার রাস্তা ধরে বেঙ্গালুরুর শান্তিনগর বাস ডিপোতে ফিরছিলেন তিনি। শনিবার রাত তখন পৌনে ৩টে।
ডিপোতে বাসটি পার্ক করে রেস্ট রুমে ঘুমোতে চলে যান। রবিবার সকাল ৮টা নগাদ বাসটিকে যখন ধোয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়, তখনই বাসের নীচে আটকে থাকা দেহটি নজরে আসে এক কর্মীর। চমকে ওঠেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে অন্য কর্মীদের ডেকে বিষয়টি জানান। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। কিন্তু সকলের মধ্যে একটা প্রশ্নই ঘুরপাক খেতে থাকে এমনটা কী করে সম্ভব হল?
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে খুন করে দেহ ডিভানে, ১১ দিন পর গ্রেফতার যুবক
কেএসআরটিসি-র এক শীর্ষ আধিকারিক যেমন জানান, এ রকম ঘটনা আগে কখনও দেখেননি তিনি। দুর্ঘটনায় কোনও দেহকে ২০০-৩০০ মিটার পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার কথা শোনা গিয়েছে, কিন্তু তা বলে ৭০ কিলোমিটার!
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে মহিউদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে পুলিশের কাছে তিনি নাকি দাবি করেছেন, এমন ঘটনা যে ঘটেছে সেটা টেরই পাননি। বাস যখন চানাপাটনার কাছে পৌঁছয় সে সময় বাসের গায়ে জোরে কিছু একটা আঘাত লাগার শব্দ পেয়েছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন কোনও পাথরে ধাক্কা লেগেছে। বাসের রিয়ার-ভিউ মিরর দিয়ে বিষয়টি দেখার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কিছু দেখতে পাননি। তাই আর বাস থামাননি। সোজা ডিপোতে এসেই বাসটি পার্ক করেন।
আরও পড়ুন: স্কুলে শিশুকে যৌন নিগ্রহ
দশ বছর ধরে বাস চালাচ্ছেন মহিউদ্দিন। দুর্ঘটনার কোনও রেকর্ডও নেই তাঁর, এমন দাবি করেছেন তাঁর কয়েক জন সহকর্মী। মহিউদ্দিন বলেন, “ভাবতে পারছি না যে একটা মানুষ আমার বাসের নীচে চাপা পড়েছে!”