গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী। —ফাইল চিত্র।
অহমদাবাদের হাসপাতালে অবশেষে শনাক্ত করা গেল গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণীর দেহ। বিমান দুর্ঘটনার তিন দিন পর ডিএনএ নমুনার মাধ্যমে দেহটি শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁর পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন। তার সঙ্গে মৃতদেহের ডিএনএ নমুনা মিলেছে। দেহটি পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল থেকে রূপাণীর দেহ নিয়ে গিয়েছে পরিবার। সোমবার রাজকোটে রূপাণীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
গত ১২ জুন অহমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকগামী বিমানে উঠেছিলেন রূপাণী। লন্ডনে কন্যার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু ওই বিমান রানওয়ে ছাড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ভেঙে পড়ে। সামনের একটি বিল্ডিংয়ে ধাক্কা খেয়ে বিমানটিতে বিস্ফোরণ হয় এবং আগুন জ্বলে ওঠে। এয়ার ইন্ডিয়ার অভিশপ্ত সেই এআই১৭১ বিমানে রূপাণী-সহ মোট ২৪২ জন ছিলেন। এক জন মাত্র যাত্রী বরাতজোরে বেঁচে গিয়েছেন। ২৪১ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। সরকারি হিসাবে এখনও পর্যন্ত অহমদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২৭০।
২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন রূপাণী। বিমান ভেঙে পড়ার পর বিস্ফোরণের অভিঘাতে যাত্রীদের অধিকাংশের দেহই ঝলসে গিয়েছে। গুজরাত প্রশাসন প্রথম দিনই জানিয়েছিল, দেহ শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হবে। তা ছাড়া কোনও লাশই শনাক্ত করা সম্ভব নয়। বিমানের যাত্রীদের আত্মীয়দের ডিএনএ নমুনা জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। বিমানটি যেখানে ভেঙে পড়েছে, সেটি ছিল ডাক্তারদের একটি হস্টেল ভবন। সেখানে এবং তার আশপাশেও অনেকের মৃত্যু হয়েছে। রূপাণীর পরিবার প্রথম দিন থেকেই হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল। তিন দিন পর তাদের দেওয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে রূপাণীর নমুনা মিলে যায়। এখনও পর্যন্ত ডিএনএ নমুনার মাধ্যমে অহমদাবাদে ৩২টি দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে ১৪টি দেহ তুলে দেওয়া গিয়েছে পরিবারের হাতে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই এই তথ্য জানিয়েছে।
অ্যাডিশনাল সিভিল সুপারিনটেন্ডেন্ট রজনিশ পটেল জানিয়েছেন, শনাক্ত করা দেহগুলির মধ্যে সকলে গুজরাত কিংবা রাজস্থানের বাসিন্দা। অনেক দেহই ঝলসে দলা পাকিয়ে গিয়েছে। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা এবং তাদের সাহায্য করার জন্য ২৩০টি দল গঠন করা হয়েছে।