বফর্স ঘুষ কাণ্ড নিয়ে সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে যেতেই ফুঁসে উঠল কংগ্রেস। অভিযোগ তুলল, সিবিআইকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাজে লাগাচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। নিজেদের ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরাতেই ফের ওই মামলা খুঁচিয়ে তুলতে চাইছে। যাতে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে জনগণের ক্ষোভের মুখে পড়তে না হয়।
কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা আজ বলেন, ‘‘বিজেপিই বফর্স কেলেঙ্কারিতে কংগ্রেস নেতৃত্বকে কালিমালিপ্ত করতে চেয়েছিল। ২০০৪-এ বফর্স মামলা থেকে রাজীব গাঁধীকে ক্লিন চিট দিয়ে দিল্লি হাইকোর্ট সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছিল।’’ ২০০৪-এর ওই রায়ের পর, ২০০৫-এ ব্রিটেন নিবাসী শিল্পপতি শ্রীচাঁদ হিন্দুজা ও গোপিচাঁদ হিন্দুজাকেও রেহাই দেয় উচ্চ আদালত। প্রায় ১৩ বছর পরে সেই রায়ের বিরুদ্ধে সিবিআই আচমকাই গত কাল সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। দাবি, নতুন কিছু প্রমাণ মিলেছে। সুরজেওয়ালার অভিযোগ, ‘‘মোদী সরকারের নির্দেশেই সিবিআই কোর্টে গিয়েছে। সস্তা রাজনৈতিক কৌশল নেওয়া হচ্ছে।’’
শুধু বফর্স মামলা নয়। গত কাল হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্রসিংহ হুডার বিরুদ্ধেও মানেসরের একটি জমি কেলেঙ্কারিতে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। কংগ্রেসের অভিযোগ, হুডার মতোই পি চিদম্বরম ও তাঁর পরিবার, দিল্লিতে শীলা দীক্ষিত, হিমাচলের বীরভদ্র সিংহ, রাজস্থানের অশোক গহলৌত, সচিন পায়লট, মহারাষ্ট্রের অশোক চহ্বাণ, উত্তরাখণ্ডের হরিশ রাওয়তের মতো কংগ্রেস নেতাদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।
বিজেপির পাল্টা যুক্তি, সিবিআই নিজের কাজ করছে। কংগ্রেসের সব নেতাই দুর্নীতিগ্রস্ত হলে সেটা সিবিআইয়ের দোষ নয়।