বম্বে হাইকোর্টে তুলোধোনা পুলিশকে

ভীমা কোরেগাঁও হিংসা মামলায় অভিযুক্ত সমাজকর্মীদের মাওবাদী যোগ প্রমাণে সাংবাদিক বৈঠক করায় মহারাষ্ট্র পুলিশকে আজ তুলোধনা করল বম্বে হাইকোর্ট। বিচারাধীন যে মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে, সেখানে পুলিশের এই পদক্ষেপ সম্পূর্ণ অন্যায় বলে সুর চড়াল আদালত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৪৭
Share:

ভীমা কোরেগাঁও হিংসা মামলায় অভিযুক্ত সমাজকর্মীদের মাওবাদী যোগ প্রমাণে সাংবাদিক বৈঠক করায় মহারাষ্ট্র পুলিশকে আজ তুলোধনা করল বম্বে হাইকোর্ট। বিচারাধীন যে মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে, সেখানে পুলিশের এই পদক্ষেপ সম্পূর্ণ অন্যায় বলে সুর চড়াল আদালত।

Advertisement

পুণের পুলিশ গত জুনে গ্রেফতার করেছিল অধ্যাপক সোমা সেন, সমাজকর্মী রোনা উইলসনদের। তার পর ২৮ অগস্ট ভারাভারা রাও, সুধা ভরদ্বাজের মতো আরও ৫ বিশিষ্টজনকে। কেন এই ধরপাকড়? এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়েই ৩১ অগস্ট মুম্বইয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মহারাষ্ট্র পুলিশের এডিজি পরমবীর সিংহ। জানান, বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এঁরা যে ‘ষড়যন্ত্র’ করছিলেন, তার জোরালো প্রমাণ আছে পুলিশের কাছে।

কমরেড প্রকাশ নামের মাওবাদী নেতাকে লেখা একটি চিঠি সামনে এনে তিনি জানান, দু’দফায় ধৃত সমাজকর্মীরা পরস্পরের মধ্যে এই চিঠি চালাচালি করেছেন।

Advertisement

গৃহবন্দি সুধা অবশ্য পরের দিনই ওই চিঠিকে ভুয়ো বলে জানিয়েছিলেন। ভারাভারার ভাইপো বেণুগোপাল পুলিশের ওই সাংবাদিক বৈঠককেই ‘আদালত অবমাননা’ বলে তোপ দেগেছিলেন।

আজ বম্বে হাইকোর্টে বিচারপতি এসএস শিন্ডে এবং বিচারপতি মৃদুলা ভটকরের ডিভিশন বেঞ্চও কাঠগড়ায় দাঁড় করাল মহারাষ্ট্র পুলিশকে। বিচারপতি ভটকরের প্রশ্ন, ‘‘পুলিশ এটা কী ভাবে করল? যে চিঠিগুলি মামলার গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে পেশ করা যেত, তা আগেই কেন ফাঁস করে দেওয়া হল সংবাদমাধ্যমে? এটা ভুল।’’

এ নিয়ে পুলিশের মত জানতে, মহারাষ্ট্র পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান সরকারি কৌঁসুলি দীপক ঠাকরে। পুলিশ যে চিঠিগুলির কথা বলছে, তা পুণের আদালত কিংবা ফরিদাবাদের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পেশ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন সুধাও।

জনৈক সতীশ গায়কোয়াড়ের একটি আবেদনের ভিত্তিতে আজ মামলার শুনানি চলছিল কোর্টে। নিজেকে ভীমা কোরেগাঁও হিংসার শিকার দাবি করে তিনি চান এই মামলার তদন্ত করুক এনআইএ। শুক্রবার আবেদন দায়ের করেছিলেন তিনি। পুণের পুলিশ রাজনৈতিক উদ্দেশে বিশিষ্টজনেদের ‘শহুরে নকশাল’ তকমা দিয়ে ফাঁসাতে চাইছে বলেও সেখানে দাবি করেছেন সতীশ। তাই পুণের পুলিশকে অবিলম্বে এই তদন্ত থেকে সরানো হোক বলেও আর্জি পেশ করেছেন তিনি। সতীশের বক্তব্য, বিশিষ্টজনেদের বিরুদ্ধে যে হেতু ইউএপিএ-র ধারা আনা হয়েছে, তাই এ ক্ষেত্রে এনআইএ-তদন্তই হওয়া উচিত। সতীশের আবেদনের পরবর্তী শুনানি ৭ সেপ্টেম্বর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন