জাল টাকা থাকলেই অপরাধ নয়: হাইকোর্ট

কোনও ব্যক্তির কাছে জাল টাকা থাকলেই তিনি অপরাধী, এমনটা ভাবা উচিত নয়— একটি মামলার সূত্রে এমন মন্তব্যই করেছে বম্বে হাইকোর্ট। আদালতের মতে, সরকারপক্ষকে প্রমাণ করতে হবে যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি জেনেশুনেই জাল নোট কাছে রেখেছিলেন। তবেই তা আইনের চোখে অপরাধ বলে গণ্য হবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৫ ০৩:০৮
Share:

কোনও ব্যক্তির কাছে জাল টাকা থাকলেই তিনি অপরাধী, এমনটা ভাবা উচিত নয়— একটি মামলার সূত্রে এমন মন্তব্যই করেছে বম্বে হাইকোর্ট। আদালতের মতে, সরকারপক্ষকে প্রমাণ করতে হবে যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি জেনেশুনেই জাল নোট কাছে রেখেছিলেন।

Advertisement

তবেই তা আইনের চোখে অপরাধ বলে গণ্য হবে।

দু’বছর আগে জাল টাকা রাখার অপরাধে দায়রা আদালতে মুন্সি মহম্মদ শেখ নামে এক ব্যক্তির পাঁচ বছর কারাদণ্ড হয়েছিল। তিনি ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যান। এ দিন রায় দিতে গিয়ে ওই ব্যক্তির সাজা মকুব করেছে হাইকোর্টের বিচারপতি অনুজা প্রভুদেশাই।

Advertisement

সরকারপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, ২০১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর মুম্বই শহরতলির কুর্লার একটি ব্যাঙ্কে সাড়ে ন’হাজার টাকা জমা করতে গিয়েছিলেন মহম্মদ শেখ। ক্যাশিয়ারকে তিনি ১৭টি ৫০০ টাকার নোট এবং একটি ১ হাজার টাকার নোট দিয়েছিলেন। কিন্তু ক্যাশিয়ারের সন্দেহ হয়, ওই টাকার মধ্যে কয়েকটি নোট জাল। উনি তখন মহম্মদ শেখকে কাউন্টারে অপেক্ষা করতে বলে ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের কাছে নোটগুলো নিয়ে যান। তিনিও হাতে নিয়ে বোঝেন যে কয়েকটি জাল নোট রয়েছে। এর পর ক্যাশিয়ার কাউন্টারে ফিরে এসে শেখকে আর দেখতে পাননি। তাঁরা তখন পুলিশে অভিযোগ জানান। ইতিমধ্যে ফিরে আসেন মহম্মদ শেখ। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।

সমস্ত প্রমাণ, তথ্য ইত্যাদি খতিয়ে দেখে বম্বে হাইকোর্ট আজ জানিয়েছে, সরকারপক্ষ এমন কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেননি, যাতে বোঝা যায় মহম্মদ শেখ জেনেশুনে তাঁর কাছে জাল টাকা রেখেছিলেন। তা ছাড়া বিচারপতি অনুজা প্রভুদেশাইয়ের বক্তব্য, আসল নোটের তুলনায় ওই জাল নোটগুলির রং বা তার কাগজের ধরনে এমন কোনও তফাৎ ছিল না, যা এক জন সাধারণ মানুষের খালি চোখে ধরা পড়ে।

হাইকোর্টের আরও পর্যবেক্ষণ, গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেও অভিযুক্ত ব্যক্তি কিন্তু পালিয়ে যাননি। তাই দায়রা আদালতের রায় বাতিল করে মহম্মদ শেখকে মুক্তি দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement