National

এ হাসপাতাল থেকে ও হাসপাতাল, বাবার কাঁধেই মরে গেল ছোট্ট ছেলেটা

হাসপাতালের ঔদাসীন্যে মৃত স্ত্রীকে কাঁধে করে ১০ কিলোমিটার হাঁটতে হয়েছিল ওড়িশার দানা মাঝিকে। উত্তরপ্রদেশের সুনীল কুমারকে সইতে হল আরও নিদারুণ যন্ত্রণা। নিজের কাঁধের উপর মরে নিস্তেজ হয়ে দেখল ১২ বছরের ছেলেকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৬ ২০:১৯
Share:

এ ভাবেই বাবার কাঁধে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে সন্তান।

হাসপাতালের ঔদাসীন্যে মৃত স্ত্রীকে কাঁধে করে ১০ কিলোমিটার হাঁটতে হয়েছিল ওড়িশার দানা মাঝিকে। উত্তরপ্রদেশের সুনীল কুমারকে সইতে হল আরও নিদারুণ যন্ত্রণা। নিজের কাঁধের উপর মরে নিস্তেজ হয়ে দেখল ১২ বছরের ছেলেকে। এক হাসপাতাল থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বেরিয়ে, অন্য হাসপাতালে যাওয়ার পথে।

Advertisement

অসুস্থ ছেলেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেছিলেন স্থানীয় চিকিত্সকরা। কানপুরের লালা লাজপত রাই হাসপাতালে ছেলেকে নিয়ে যান সুনীল। কিন্তু সেখানে ওই বালককে ভর্তি না নিয়ে অন্য এক হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়। ২৫০ মিটার দূরের ওই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য না দেওয়া হয় কোনও স্ট্রেচার, না অন্য কোনও সাহায্য। কাঁধে করেই ছেলেকে বয়ে শিশু হাসপাতালে গিয়ে পৌঁছন সুনীল। কিন্তু তত ক্ষণে বাবার কাঁধেই মারা গেছে ছোট্ট ছেলেটা।

“কাঁধে করে ছেলেটাকে নিয়ে যখন (লালা লাজপত রাই) হাসপাতালে যাই কেউ দেখেনি। ৩০ মিনিট ধরে কারও থেকে কোনও রকম সাহায্য পাইনি। এবং তারপর যখন ওকে শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাই, ওরা বলল ১০ মিনিট আগে নিয়ে এলেই ছেলেটা বেঁচে যেত”- বললেন সুনীল কুমার।

Advertisement

ঘটনাটি নিয়ে হইচই হতেই নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য প্রশাসন। তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালা লাজপত রাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন