মোমিন আলতাফের দেহ নিয়ে মিছিল। শনিবার শ্রীনগরে। ছবি: পিটিআই।
সংঘর্ষে কিশোরের মৃত্যুকে ঘিরে ফের অশান্তি বাড়ল ভূস্বর্গে। পাশাপাশি কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদে বাগ্যুদ্ধে জড়াল ভারত ও পাকিস্তান।
গত কাল রাতে শ্রীনগরে বিক্ষোভের সময়ে বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় ১৩ বছরের কিশোর মোমিন আলতাফ। ছররা গুলিতে তার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধারের পরেই কাশ্মীরে অশান্তি বাড়ে। মোমিনের দেহ নিয়ে মিছিলে যোগ দেন বহু মানুষ। ফলে শ্রীনগরের হারওয়ান এলাকায় আজ ফের কার্ফু জারি করেছে প্রশাসন।
ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে কাশ্মীরি মানবাধিকার কর্মী পারভেজ খুররমকে গ্রেফতার করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। জেনিভায় রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা ছিল পারভেজের। কিন্তু তাঁকে বিমানে উঠতেই দেয়নি প্রশাসন। গত কাল রাতে পারভেজকে শ্রীনগরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উপত্যকার বাসিন্দাদের মতে, নাগরিক সমাজের যে সব প্রতিনিধি এখন কাশ্মীরে বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ নিয়ে সরব এ বার তাঁদেরও মুখ বন্ধ করতে চাইছে প্রশাসন।
জেনিভার বৈঠকে এ দিন পাকিস্তানের কড়া সমালোচনা করেছে ভারত। এর আগেই ‘‘কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন’’ নিয়ে দিল্লিকে একহাত নিয়েছে ইসলামাবাদ। এ দিন ভারতের তরফে জানানো হয়, কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। তারা বার বার কাশ্মীরে রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রস্তাব কার্যকর করার কথা বলে। কিন্তু সেই প্রস্তাব মেনে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর থেকে সেনা সরাতে রাজি নয়। শিমলা চুক্তি, ২০০৪ সালের সন্ত্রাস-বিরোধী বিবৃতি, ২০১৫ সালের উফা সমঝোতাও পাকিস্তান মেনে চলেনি।
ভারতের দাবি, কাশ্মীরে সব চেয়ে বড় সমস্যা হল সন্ত্রাস। পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরেই জঙ্গিদের লালনপালন করা হয়।