Jharkhand Wedding

ঠান্ডায় কাঁপছেন বর, বিয়ের মণ্ডপেই অজ্ঞান! দেখে মালাবদলের পরেও বিয়ে ভেঙে দিলেন কনে

ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে বসেছিল বিয়ের আসর। কিন্তু মালাবদলের পর ঠান্ডায় অসুস্থ হয়ে পড়েন বর। অজ্ঞান হয়ে মণ্ডপেই পড়ে যান তিনি। এর পর কনে বিয়ে ভেঙে দেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:৫৯
Share:

খোলা আকাশের নীচে বিয়ের মণ্ডপ সাজানো হয়েছিল, কিন্তু বর ঠান্ডায় কাঁপছিলেন। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

বিয়ের মণ্ডপে দাঁড়িয়ে ঠান্ডায় থরথর করে কাঁপছেন বর। সেই অবস্থাতেই মালাবদল হয়েছিল। কিন্তু তার পর এক সময়ে মণ্ডপের মধ্যেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলেন বর। এই দেখে আর এগোতে সাহস পাননি তরুণী। তৎক্ষণাৎ বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন। তাঁর আশঙ্কা, বর অসুস্থ। কোনও অসুখের কথা তাঁর কাছে গোপন করা হয়েছে, বিয়ের মণ্ডপে দাঁড়িয়েই সেই আশঙ্কা প্রকাশ করেন কনে। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিস্তর অশান্তি হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

Advertisement

ঘটনাটি ঝাড়খণ্ডের দেওঘরের। সেখানকারই বাসিন্দা অর্ণব, যার সঙ্গে বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা অঙ্কিতার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। রবিবার রাতে ধুমধাম করে বসেছিল বিয়ের আসর। হিন্দু মতে নিয়ম মেনে বিয়ে শুরু হয়। মালাবদল পর্যন্ত হয়ে গিয়েছিল। তবে এই বিয়ের মণ্ডপ সাজানো হয়েছিল খোলা আকাশের নীচে। সেই কারণেই ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছিলেন বর।

পুলিশ সূত্রে খবর, খোলা আকাশের নীচে মালাবদলের সময়েই বর ঠকঠক করে কাঁপছিলেন। কিছু ক্ষণ পরে তিনি সংজ্ঞা হারান। দ্রুত তাঁকে ঘরের ভিতর নিয়ে যাওয়া হয়। বরকে দেখতে আসেন চিকিৎসক। তাঁর চেষ্টায় প্রায় ঘণ্টাখানেক পর বরের সংজ্ঞা ফেরে। কিন্তু এ বার আর তাঁকে বিয়ে করতে রাজি হননি কনে। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ঠান্ডা সহ্য করতে না-পেরে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে বলে তাঁর অনুমান। বরের কোনও অসুখ রয়েছে বলে মনে হয়েছে তাঁর। দুই পরিবার এ নিয়ে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ে।

Advertisement

হিন্দু মতে বিয়ের সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী, কনের বাড়িয়ে বিয়ে করতে বরযাত্রী নিয়ে যান বর। কিন্তু এ ক্ষেত্রে নিয়ম উল্টে গিয়েছিল, জানিয়েছে পুলিশ। এ ক্ষেত্রে ভাগলপুর থেকে কনেযাত্রী নিয়ে দেওঘরে বিয়ে করতে গিয়েছিলেন পাত্রী। কেন নিয়মের বদল হল, বিয়ে ভাঙার পর তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

কনেপক্ষের তরফেই রাতে পুলিশ ডাকা হয়। তারা দুই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে ঝামেলা মিটিয়ে বিয়ে সম্পন্ন করানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু লাভ হয়নি। পরের দিন দু’পক্ষের সম্মতিতেই বিয়ে বাতিল ঘোষণা করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement