টুকরো খবর

আলোর উৎসব উপলক্ষে বাজির হরেক পসরায় ভরে উঠেছিল ফরিদাবাদের দশেরা ময়দান। কিন্তু উৎসবের আগেই পুড়ে খাক হয়ে গেল কয়েক কোটি টাকার বাজি। কার্যত দিশাহারা ব্যবসায়ীরা। তাঁদের সর্বহারা মুখগুলোই আজ ভিড় করল ছাই-বারুদের ধ্বংসস্তূপে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৪ ০২:২৩
Share:

বাজি বাজারের ধ্বংসস্তূপ অরক্ষিতই

Advertisement

সংবাদ সংস্থা • ফরিদাবাদ

আলোর উৎসব উপলক্ষে বাজির হরেক পসরায় ভরে উঠেছিল ফরিদাবাদের দশেরা ময়দান। কিন্তু উৎসবের আগেই পুড়ে খাক হয়ে গেল কয়েক কোটি টাকার বাজি। কার্যত দিশাহারা ব্যবসায়ীরা। তাঁদের সর্বহারা মুখগুলোই আজ ভিড় করল ছাই-বারুদের ধ্বংসস্তূপে। কারও আশা, যদি কিছু খুঁজে পাওয়া যায় ছাইগাদা থেকে। কারও বা শুধুই প্রশ্ন, কী ভাবে সামলানো যাবে এত বড় ক্ষতির ধাক্কা? কোনও ক্ষতিপূরণ মিলবে কি আদৌ? এক দল বাচ্চা ধ্বংসস্তূপ ঘেঁটে বাজি খুঁজছে। কিছু ব্যবসায়ী চুম্বকের সাহায্যে সংগ্রহ করছেন লোহালক্কড়ের টুকরো। অস্থায়ী তাঁবুগুলোর ভগ্নাংশও খুলে নিয়ে যাচ্ছেন কেউ কেউ। ইতিউতি ঘুরছেন সাংবাদিকরা। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে নেই কোনও নিরাপত্তা রক্ষী কিংবা পুলিশ। গৌরব জায়সবাল নামের এক ব্যবসায়ী বললেন, “এই ময়দানে দোকান করার অনুমতি পেতে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয় আমাদের। সুরক্ষার কথা বলে সেই টাকা নেয় সরকার। কিন্তু এখন তো সরকারের তরফে কারও দেখাই মিলছে না।” ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বাজারে কোনও অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না। আগুন ছড়ানোর এক ঘণ্টা পরে দমকলের প্রথম ইঞ্জিন এসে পৌঁছয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, কাল অত বড় দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও এলাকা ‘সিল’ করা হয়নি। এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে অনেক দাহ্য বস্তু। যে কোনও মুহূর্তে ফের আগুন জ্বলে উঠতে পারে ধ্বংসস্তূপে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আবার অভিযোগ, প্রশাসনিক সহায়তার দাবিতে আশপাশের দোকানপাটে ভাঙচুর চালিয়েছেন কিছু ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীরা অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছেন, “সরকারি সহায়তা চাই। কিন্তু তা কখনওই ভাঙচুরের পথে নয়।” হরিয়ানায় নতুন সরকার এখনও শপথের অপেক্ষায়। তারই আগে এই ঘটনায় রাজ্যবাসীর একাংশের দাবি, ক্ষমতায় আসার আগেই ভরসা খোয়ালেন মুখ্যমন্ত্রী এম এল খাট্টার।

Advertisement

আল কায়দা ও জামাতের যোগ, দাবি গগৈয়ের

নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি

রাজ্যে ঘাঁটি গাড়া জামাত জঙ্গিদের সঙ্গে আল কায়দার যোগ রয়েছে বলে জানালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। ডিজিপি খগেন শর্মা জানিয়েছিলেন, জামাত জঙ্গিরা রাজ্যে স্লিপার সেল তৈরি করেছে। রাজ্যের বেশ কিছু যুবক-যুবতী রাজ্যের বাইরে অস্ত্র শিক্ষাও নিয়েছে। কিন্তু তিনি সরাসরি আল কায়দার নাম নেননি। বরপেটা থেকে ধৃত ৬ জামাত সদস্যের কাছ থেকে কি জানা গিয়েছে সেই ব্যাপারেও এসবির মুখে কুলুপ। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী জানান, “রাজ্যের জামাত সদস্যদের সঙ্গে আল কায়াদার যোগাযোগ থাকার প্রমাণ ও তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে। আল কায়দা রাজ্যে ঘাঁটি গাড়ার চেষ্টা করছে। রাজ্য সরকার আল কায়দার ষড়যন্ত্র ঠেকাতে সব রকম ব্যবস্থা নিচ্ছে। বদরুদ্দিন আজমলের নেতৃত্বাধীন এআইইউডিএফ অভিযোগ করেছিল, কংগ্রেস বাংলাদেশি ও জিহাদিদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। গগৈ সেই অভিযোগ অস্বীকার করে এআইইউডিএফকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। অন্য দিকে, গত কাল আসফা নেতা পরেশ বরুয়া অসমে গণভোট নেওয়ার দাবি তুলেছেন।

ধৃত ৬ আলফা জঙ্গি

নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি

মেঘালয় থেকে ধরা পড়ল ৬ আলফা জঙ্গি। সেনাবাহিনী সূত্রে জানানো হয়েছে, পশ্চিম গারো হিলের পেডালডোবা এলাকায় পরেশপন্থী আলফা জঙ্গিদের গতিবিধির খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর রেড হর্ন ডিভিশন ও মেঘালয় পুলিশ সেখানে নজরদারি বাড়ায়। গত কাল রাতে, একটি সন্দেহজনক গাড়ি আসতে দেখে জওয়ানরা রাস্তা আটকান। গাড়ি থেকে গুলি চালানো হয়। দুই তরফে কিছুক্ষণ গুলির লড়াইয়ের পর ৬ আলফা জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৬টি পিস্তল, দু’টি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন