ত্রিপুরায় ব্রডগেজ যাত্রিবাহী ট্রেন মে মাসেই

অসম ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ভোটের জন্য ত্রিপুরাকে ব্রডগেজে যুক্ত করা যায়নি। ভোটপর্ব শেষ হলেই আগরতলা পর্যন্ত ট্রেন চালানো শুরু করতে চায় উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল।

Advertisement

উত্তম সাহা

শিলচর শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৩৮
Share:

অসম ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ভোটের জন্য ত্রিপুরাকে ব্রডগেজে যুক্ত করা যায়নি। ভোটপর্ব শেষ হলেই আগরতলা পর্যন্ত ট্রেন চালানো শুরু করতে চায় উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল।

Advertisement

জেনারেল ম্যানেজার এইচ কে জাগ্গি শিলচরে আনন্দবাজার পত্রিকা-কে জানিয়েছেন: অসমের বদরপুর থেকে ত্রিপুরার আগরতলা পর্যন্ত গেজ পরিবর্তনের জন্য তাঁরা ৩১ মার্চ পর্যন্ত মেগাব্লক নিয়েছিলেন। ওই সময় পর্যন্ত সমস্ত ধরনের রেল চলাচল বাতিল করা হয়েছিল। মেয়াদের মধ্যেই গেজ পরিবর্তন সম্পন্ন হয়েছে। শুরু হয়েছে বাণিজ্যিক মালগাড়ির চলাচলও। এমনকী, কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস) এস কে পাঠক পুরো লাইন পরিদর্শন করে প্রকাশ্যে সন্তোষ প্রকাশ করে গিয়েছেন। তাঁর রিপোর্টেও এর প্রতিফলনই ঘটেছে। অধিকাংশ জায়গায় ১০০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলতে পারে বলে রেলবোর্ডকে জানিয়েছেন তিনি।

কিন্তু যে রাজ্যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে, সেখানে ভোট না থাকলেও এই ধরনের প্রকল্প নির্বাচনী আচরণ বিধির আওতায় পড়ে যাবে কি না, সংশয়ে ছিলেন রেলকর্তারা। পরে কমিশন জানিয়েছে, ট্রেন যে হেতু অসম-পশ্চিমবঙ্গ ছোঁবে, উপকৃত হবেন সে রাজ্যের মানুষও। ফলে ত্রিপুরাতেও এর উদ্বোধন করা যাবে না। এতেই আটকে যায় প্রভুর নববর্ষের উপহার।

Advertisement

রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু পূর্বোত্তর সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেস শিলচর পর্যন্ত সম্প্রসারণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এখানে এসে নিজে থেকেই ঘোষণা করেছিলেন, ১৪ এপ্রিল এই অঞ্চলে নতুন বছরের শুরু। তার আগে ব্রডগেজ ট্রেন চালিয়ে ত্রিপুরার মানুষকে নববর্ষের উপহার দেওয়া হবে।

শুধু ত্রিপুরা নয়, বদরপুর-আগরতলা ব্রডগেজ চালুর জন্য মুখিয়ে রয়েছেন অসমেরও বহু মানুষ। বিশেষ করে, একই রুটে পড়ায় করিমগঞ্জ জেলাও সাত মাস ধরে রেল যোগাযোগ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। এই জেলায় জাতীয় সড়কও অনেকদিন থেকেই অত্যন্ত বেহাল। নেই বিমান পরিষেবা। ফলে তাঁরা যাতায়াতের জন্য রেলের দিকেই তাকিয়ে আছেন। জাগ্গি বলেন, সেই কারণেই তিনিও এই লাইনটি চালু করার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করে চলেছেন। নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের শেষ দফার ভোট সম্পন্ন হওয়ার পর ওই লাইনের উদ্বোধনে তাঁদের আপত্তি রয়েছে কিনা। ইতিবাচক সাড়া মিললে ১৯ মে-র আগেই ত্রিপুরা ব্রডগেজ মানচিত্রে যুক্ত হতে চলেছে বলে জানান উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার। একই সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘তা না হলে কী আর করা যাবে! ১৯ মে পর্যন্ত অপেক্ষাই করতে হবে।’’

আগরতলা-শিলচর ট্রেন দিয়েই যে ত্রিপুরায় ব্রডগেজের সূচনা হবে, জাগ্গি তারও ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, ‘‘চালানো হবে করিমগঞ্জ-শিলচর ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসও। পর্যায়ক্রমে মিলবে অন্যান্য ট্রেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন