পাচারকারীর গাড়িতে পিষ্ট কম্যান্ডান্ট প্রয়াত

পশ্চিমবঙ্গের হাঁসখালির তারক নগরের বাসিন্দা দীপকবাবু ত্রিপুরা বিএসএফে কর্মরত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছেন। কল্যাণীতে থাকেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আগরতলা শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:০৯
Share:

দীপক মণ্ডল

মারা গেলেন বিএসএফের ভারপ্রাপ্ত কম্যান্ড্যান্ট দীপক মণ্ডল (৪৭)। গত রবিবার গভীর রাতে ত্রিপুরার সিপাহীজলার মনারচকে গরু-পাচারকারীরা তাঁর উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয়। তাঁকে কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বিএসএফের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত কয়েক দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন দীপকবাবু। কিন্তু আজ সকাল সাড়ে এগারটা নাগাদ সব লড়াই শেষ হয়ে যায়। দীপকবাবুর মৃত্যুতে শোক জানিয়ে ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায় টুইটারে বলেছেন, দেশের জন্য প্রাণ দিলেন দীপক মণ্ডল। এরপরেই তাঁর কটাক্ষ, ‘‘দেখা যাক এ বার ক’জন বলেন #আয়ামদীপক।’’

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গের হাঁসখালির তারক নগরের বাসিন্দা দীপকবাবু ত্রিপুরা বিএসএফে কর্মরত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছেন। কল্যাণীতে থাকেন তাঁরা। বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী কাল তারক নগরে বাহিনীর পূর্ণ মর্যাদায় দীপকবাবুর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

আরও পড়ুন: কেদার-প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রী মোদীর মুখে রাজনীতি

Advertisement

রবিবারের ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একটি গাড়ি ও তার চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। খোঁজ চলছে অন্য দুষ্কৃতীদের। রবিবার রাতে বিএসএফের একটি গাড়ির দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল ঘুরে শিবিরে ফিরছিলেন দীপকবাবু। সঙ্গে ছিলেন ৪-৫ জন জওয়ান। মাঝরাস্তায় তিনি দেখেন, কয়েকটি গরু বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছে। গাড়ি থেকে নেমে সে দিকে এগোন দীপকবাবু। সঙ্গে ছিলেন তাঁর সহকর্মীরা। পাচারকারীরা সংখ্যায় ছিল জনাপঁচিশেক। দু’টি গাড়িও ছিল তাদের সঙ্গে। তাদের হাতে ছিল লাঠি, ধারাল অস্ত্র, ইট। অভিযোগ, দীপকবাবুদের বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে তারা। মাটিতে পড়ে যান দীপকবাবু। একটি গাড়ি তাঁকে পিষে দিয়ে পালায়। শূন্যে গুলি চালান তাঁর সঙ্গীরা। এর পর তাঁকে উদ্ধার করে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন