National News

ফের পঞ্জাব সীমান্তে পাক ড্রোন, আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের ছক! সতর্কতা জারি

বিএসএফ সূত্রে খবর, সোমবার রাত ১০টা থেকে ১০টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ফিরোজপুরের হুসেনওয়ালা এলাকায় এইচ কে টাওয়ারের কাছে একাধিক বার ওই ড্রোনটি নজরে আসে বিএসএফ-এর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ফিরোজপুর শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৯ ১৩:০৪
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

ফের পঞ্জাব সীমান্তে সন্দেহজনক পাক ড্রোন। সোমবার রাতে ফিরোজপুরের কাছে সীমান্তে এই ড্রোনের উপস্থিতি বিএসএফ-এর নজরে আসতেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে সীমান্ত এলাকায়। কড়া নজরদারি রাখতে বলা হয়েছে বিএসএফ ও পুলিশ প্রশাসনকে। এলাকা জুড়ে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত চিরুনি তল্লাশি চালিয়েছেন বিএসএফ জওয়ানরা। তবে এখনও পর্যন্ত সন্দেহজনক কিছু মেলেনি বলেই বিএসএফ সূত্রে খবর। কিন্তু ফের অস্ত্র, মাদক বা জাল নোট পাচারের চক্রান্ত কিনা, তা খতিয়ে দেখতে শুরু হয়েছে তদন্ত।

Advertisement

বিএসএফ সূত্রে খবর, সোমবার রাত ১০টা থেকে ১০টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ফিরোজপুরের হুসেনওয়ালা এলাকায় এইচ কে টাওয়ারের কাছে একাধিক বার ওই ড্রোনটি নজরে আসে বিএসএফ-এর। তার পর ১২টা ২৫ মিনিটে ফের দেখা যায়। সব মিলিয়ে মোট পাঁচ বার আকাশে উড়তে দেখা যায় ড্রোনটিকে। তার মধ্যে এক বার সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় আকাশসীমাতেও ঢুকে পড়েছিল ওই ড্রোনটি। প্রথম মজরে আসতেই বিএসএফ-এর পদস্থ কর্তাদের বিষয়টি জানান জওয়ানরা। তখন থেকেই ওই সীমান্তে ২৪ ঘণ্টা কড়া নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিএসএফের শীর্ষ কর্তারা।

সেপ্টেম্বর মাসের গোড়ার দিকে পঞ্জাব সীমান্তে একটি ড্রোন উদ্ধার হয়। ওই ড্রোনের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে পঞ্জাবে একে-৪৭ এর মতো আগ্নেয়াস্ত্র পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তার পরেও গত মাসের শেষ সপ্তাহ নাগাদ আরও একটি পুড়ে যাওয়া ড্রোন উদ্ধার হয়। তাতেও একই কায়দায় অস্ত্র পাচার হয়েছে বলে অভিযোগ। সোমবার রাতেও সেই ধরনের কোনও ঘটনার পুনরাবৃত্তি কি না, তার হদিস পেতে রাত থেকেই তল্লাশি শুরু করেন সেনা, বিএসএফ, পঞ্জাব পুলিশ ও গোয়েন্দারা। তবে এ ক্ষেত্রে এখনও তেমন কোনও সূত্র বা প্রমাণ মেলেনি বলেই বিএসএফ সূত্রে খবর।

Advertisement

আরও পডু়ন: মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর নজরদারির অভিযোগ, চিনের ২৮ সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করল আমেরিকা

আরও পডু়ন: সন্ত্রাস দমনে নীতি বদল করেছে সরকার, বললেন বায়ুসেনা প্রধান

কিন্তু গোয়েন্দারা খবর পেয়েছেন, পাক জঙ্গিরা চিনের তৈরি এমন ড্রোন ব্যবহার করছে, যেগুলি ভারী ওজন নিয়ে উড়তে পারে। এই ধরনের ড্রোনের সাহায্যে আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক, জাল নোট পাচারের ছক কষছে বলেও বিভিন্ন সূত্রে খবর রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে। এই খবরের পরেই সীমান্তে কার্যত বাজপাখির মতো নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে। তার জেরেই এই ড্রোনটি ভারতীয় মূল ভূখণ্ডে ঢোকার আগেই নজরে এসেছে এবং তা প্রতিহত করা গিয়েছে বলেই বিএসএফ-এর শীর্ষকর্তাদের একটি অংশের মত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন