Murder in Delhi

নাকছাবিটাই ধরিয়ে দিল! স্ত্রীকে খুন করে নর্দমায় দেহ ফেলার অভিযোগে গ্রেফতার স্বামী

মৃতার নাকে যে নাকছাবি ছিল, তা নিয়ে দিল্লির সোনার দোকানগুলিতে খোঁজ শুরু করে পুলিশ। দক্ষিণ দিল্লির একটি সোনার দোকানের তরফে জানানো হয়, নাকছাবিটি সেখান থেকেই কিনেছিলেন অনিল বলে এক ব্যক্তি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:৫৪
Share:

নিহত সীমা সিংহ। ছবি: সংগৃহীত।

গত ১৫ মার্চ দিল্লির নালা থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক মহিলার দেহ। বিছানার চাদরে মোড়ানো ছিল দেহটি। মৃতার পরিচয় জানতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তাদের সাহায্য করেছিল মৃতার নাকের নাকছাবি। সেই সূত্র ধরেই শেষ পর্যন্ত অভিযুক্তের নাগাল পান তদন্তকারীরা। গ্রেফতার করা হয় সীমা সিংহ নামে ওই মহিলার স্বামী অনিল কুমারকে। পেশায় ব্যবসায়ী অনিল গুরুগ্রামে নিজের খামারবাড়িতে থাকতেন। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, সীমার দেহটি বিছানার চাদরে জড়িয়ে সিমেন্টের বস্তায় ভরে ফেলা হয়েছিল নর্দমায়। সঙ্গে পাথরও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মৃতার নাকে যে নাকছাবি ছিল, তা নিয়ে দিল্লির সোনার দোকানগুলিতে খোঁজ শুরু করে তারা। দক্ষিণ দিল্লির একটি সোনার দোকানের তরফে জানানো হয়, নাকছাবিটি সেখান থেকেই কিনেছিলেন অনিল বলে এক ব্যক্তি। এর পরে অনিলের গুরুগ্রামের খামারবাড়িতে হানা দেয় পুলিশ।

অনিলকে স্ত্রীর কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, স্ত্রী সীমা বৃন্দাবনে গিয়েছেন। নিজের মোবাইল সঙ্গে নিয়ে যাননি। তাতেই সন্দেহ বৃদ্ধি পায় তদন্তকারীদের। অনিলের দ্বারকার অফিসেও যায় পুলিশ। সেখানে তাঁর একটি ডায়েরি থেকে সীমার মায়ের নম্বর উদ্ধার করে পুলিশ। সেই নম্বরে ফোন করে সীমার বোন ববিতার সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। ববিতা জানান, ১১ মার্চ শেষ বার সীমার সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁদের। তার পরে যখনই ফোন করেছেন, অনিল জানিয়েছেন, সীমার কথা বলতে ইচ্ছা করছে না। কখনও জানিয়েছেন, সীমা জয়পুরে গিয়েছেন। ববিতা জানিয়েছেন, তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হতে চাইলে বুঝিয়েসুঝিয়ে আটকে দেন অনিল।

Advertisement

শেষ পর্যন্ত ১ এপ্রিল সীমার দেহ শনাক্ত করে তাঁর পরিবার। পরের দিন সীমার বড় ছেলেও শনাক্ত করেন দেহ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, গলা টিপে খুন করা হয়েছে সীমাকে। তার পরেই গ্রেফতার করা হয়েছে অনিল এবং তাঁর রক্ষী শিবশঙ্করকে। কেন স্ত্রীকে খুন করেছেন তিনি, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement