স্বচ্ছতা নিয়ে ক্রমাগত প্রশ্নের মুখে পড়ছিল মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া (এমসিআই)। ডাক্তারি শিক্ষার পরিকাঠামো ঢেলে সাজতে এমসিআই ভেঙে দিয়ে বিকল্প ‘ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন’ (এনএমসি) গঠনের প্রস্তাব স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জমা পড়েছিল আগেই। শুক্রবার সেই সংক্রান্ত বিলটিতেই সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। চলতি অধিবেশনেই বিলটি সংসদে পেশ হবে বলে জানান কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।
আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে এই বৈঠকের পরে রবিশঙ্কর জানান, বিলটি আইনে পরিণত হলে ২০ সদস্যের কমিশনই হবে মেডিক্যাল শিক্ষার সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক। ডাক্তারির স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা, মেডিক্যাল কলেজগুলির অনুমোদন, ডাক্তারদের রেজিস্ট্রেশন— ইত্যাদির দায়িত্বে থাকবে চারটি স্বশাসিত বোর্ড। সূত্রের বক্তব্য, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি উপদেষ্টা পরিষদ গড়ার প্রস্তাবও রয়েছে বিলটিতে।
আরও পড়ুন: সংসদে কংগ্রেসের হাত এড়িয়ে চলবেন মমতা
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নীতি আয়োগের সঙ্গে আলোচনা করে গত অক্টোবরে খসড়া বিলটি চূড়ান্ত করেছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কিন্তু কেন এই বিকল্প কমিশন? সূত্রের বক্তব্য, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগ বারবার উঠছিল এমসিআই-এর বিরুদ্ধে। সেই কারণেই মেডিক্যাল শিক্ষার সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটিতে স্বচ্ছতায় জোর দিচ্ছিল মোদী সরকার। নয়া মেডিক্যাল কমিশন আইনে সেই বন্দোবস্তও রাখা হয়েছে, যেখানে প্রয়োজনে আপিল করা যাবে সরকারের দরজাতেও। পাশাপাশি, ডাক্তারি শিক্ষার আধুনিকীকরণের যুক্তিও দিয়েছিল কেন্দ্র। খসড়া বিলে প্র্যাক্টিসের যোগ্যতা অর্জনকারী পরীক্ষার প্রস্তাবও ছিল। যদিও তা নিয়ে আজ কিছু বলেননি আইনমন্ত্রী।