মায়ানমারের টাগায় শেয হল খাপলাংয়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। —নিজস্ব চিত্র।
কেন্দ্রের সঙ্গে ফের শান্তি আলোচনা শুরুর জন্য খাপলাং বাহিনীর কাছে বার্তা পাঠাল নাগাল্যান্ডের শাসকদল এনপিএফের নেতৃত্বাধীন ড্যান জোট।
বুধবার বিকেলে জোটের বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী সুরহোঝেলি লিঝিৎসু খাপলাংয়ের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “প্রয়াত খাপলাং নাগাদের ঐক্যবধ্য করতে চেয়েছিলেন। আমরাও তা চাই। তাই খাপলাং সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করার পরেও আমরা পাল্টা আক্রমণের রাস্তায় না হেঁটে নাগাড়ে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছি মায়ানমারে। ভারত-নাগা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান সকলের কাম্য। তাই আর দেরি না করে রাজনৈতিক পথে সমাধান খোঁজার জন্য সব নাগা সংগঠনকে হাত মেলাতে হবে।” এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু নাগাদের মূল স্রোতে ফেরার আহ্বান জানান। তবে তা সত্ত্বেও জঙ্গিদের যৌথ মঞ্চের তরফে আলফা সেনাধ্যক্ষ পরেশ বরুয়া জানিয়েছিলেন, কোনও নাগা লড়াই ছাড়বে না। ভারতের বিশ্বাসঘাতকতার কথা সকলে জানে। কিন্তু নাগাল্যান্ডের শাসকদল বরাবরই নাগা আন্দোলনকে সম্মান জানিয়ে এসেছে। তাই ফের খাপলাংদের কাছে ঘরে ফেরার আর্জি ও শান্তি আলোচনায় শরিক হওয়ার আবেদন জানাল ড্যান জোট।
আরও পড়ুন
মানসিক ভারসাম্যহীনকে মারমুখী জনতার হাতেই তুলে দিল পুলিশ
পাশাপাশি, প্রয়াত খাপলাংকে ‘আগের সব অপরাধ ও রক্তপাতের জন্য ক্ষমা’ করে দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন এনএসসিএন আই-এম প্রধান থুইংলেং মুইভা। ১৯৮৮ সালে মুইভাপন্থী শতাধিক টাংখুল নাগাকে হত্যা করে দল ভেঙেছিলেন খাপলাং। বর্তমানে কেন্দ্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চালাচ্ছে আই-এম। শান্তি চুক্তির প্রস্তাবনাও স্বাক্ষরিত হয়েছে। কেন্দ্র তাদের শর্ত দিয়েছিল, সব নাগা সংগঠনকে শান্তির পথে না আনলে চুক্তি করে লাভ হবে না। মুইভা প্রায় সব শাখা ও সংগঠনকে নিজের পাশে টানলেও খাপলাংকে তা পারেননি। খাপলাংয়ের দল ভেঙে মুলাতনু, ওয়ংতিং নাগাদের মতো নেতাদের ভারতে ফেরালেও নিকি সুমি, ইসাক সুমিদের নিয়ে নাশকতা চালিয়ে গেছেন মায়ানমারের নাগা খাপলাং।
অন্য দিকে, ছ’টি নাগা জঙ্গি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ এনএনপিজি নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে ঘোষণা করেছে, দীর্ঘস্থায়ী শান্তির জন্য তারা ভারতের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় আসতে রাজি। ওই সংগঠনগুলি হল এনএনসি, এনএসসিএন ইউনিফিকেসন, এনএসসিএন-আর, এনএনসি (এফজিএন), এনএনসি (জিডিআরএন) এবং এনএনসি (এনপিজিএন)। বৈঠকের পরে নাগাল্যান্ড ট্রাইবস কাউন্সিলের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, এ বার থেকে ছ’টি দল এক ছাতার তলায় কাজ করবে।