(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী এবং মার্ক কার্নে (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
জি৭ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলে শুক্রবার নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করে কানাডায় আয়োজিত হতে চলা এ বারের জি৭ বৈঠকে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নে। বিশ্বের সাত উন্নত অর্থনীতির দেশের অক্ষ হল জি৭। তবে রীতি অনুযায়ী, আয়োজক দেশ জি৭ জোটের বাইরে থাকা কোনও দেশকেও বৈঠকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানায়।
শুক্রবার মোদীকে আমন্ত্রণের কারণ ব্যাখ্যা করে কার্নে জানান, ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল দেশও। তা ছাড়া বিশ্বের পণ্য বণ্টন ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও যে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে, সে কথাও উল্লেখ করেন কার্নে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী এ-ও জানান যে, জি৭ বৈঠকে শক্তি, নিরাপত্তা, ডিজিটাল ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ নিয়ে আলোচনা হবে। আলোচনা হবে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে আরও বেশি সহযোগিতা করার বিষয়েও। বৈঠকের আলোচ্যসূচি জানিয়ে কার্নে বলেন, “এই সমস্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য কয়েকটি দেশের অংশগ্রহণ জরুরি।” এই প্রসঙ্গেই ভারতের নাম করেন তিনি।
আগামী ১৫ থেকে ১৭ জুন ৫১তম জি৭ সম্মেলনের আসর বসছে কানাডার কানানাস্কিসে। ২০২০ সাল বাদ দিয়ে গত পাঁচ বছর ধরে জি৭ সম্মেলনে আমন্ত্রিত সদস্য হিসাবে উপস্থিত থেকেছে ভারত। তবে এ বার সম্মেলনের সময় প্রায় হয়ে এলেও কানাডার তরফে আমন্ত্রণপত্র না-আসায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। উল্লেখ্য, কার্নের পূর্বসূরি জাস্টিন ট্রুডোর জমানায় খলিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদে কানাডার মদত ঘিরে নয়াদিল্লি এবং অটোয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছিল। কার্নে অবশ্য ক্ষমতায় এসেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করার বার্তা দেন। কার্নের আমন্ত্রণ পেয়ে মোদী জানিয়েছেন, ভারত এবং কানাডা পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রেখে নয়া উদ্যমে একসঙ্গে কাজ করবে।