Bipin Rawat

কামান তৈরি হবে দেশে, আমদানি গরমের পোশাক?

কমিটির বিরোধী নেতাদের প্রশ্ন, ভারত যদি দেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বানানোর পরিকল্পনা হাতে নিতে পারে, তা হলে সামান্য গরম জামা কেন বানাতে পারবে না?

Advertisement

অনমিত্র সেনগুপ্ত

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২০ ০৭:২৩
Share:

—ফাইল চিত্র।

প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ভারত গড়ার ডাক গত কালই দিয়েছিলেন রাজনাথ সিংহ। আর আজ পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)-র কাছে চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়ত জানালেন, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে চিনের সেনাদের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে যারা পাহারার দায়িত্বে রয়েছেন শীতকালের কথা মাথায় রেখে তাদের জন্য বিদেশ থেকে গরম জামা আমদানি করতে হচ্ছে ভারতকে! কমিটির বিরোধী নেতাদের প্রশ্ন, ভারত যদি দেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বানানোর পরিকল্পনা হাতে নিতে পারে, তা হলে সামান্য গরম জামা কেন বানাতে পারবে না? সূত্রের মতে, এ নিয়ে মুখে কুলুপ আঁটেন সেনা কর্তারা।

Advertisement

পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় গত জুন মাসে ভারত ও চিন সেনার মধ্যে যে সংঘর্ষ হয়, তাতে নদীর জলে পড়ে গিয়ে ভিজে যান বেশ কিছু ভারতীয় সেনা। মৃত্যুর কারণ হিসাবে দেখা যায় কার্যত প্রবল ঠাণ্ডায় জমে গিয়ে বা হাইপোথার্মিয়া হয়ে মারা যান অধিকাংশ সেনা। সে সময়েই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল ওই এলাকায় পাহারার দায়িত্বে থাকা সেনাদের উপযুক্ত গরম পোশাকের অভাব রয়েছে। বর্তমানে লাদাখের যা পরিস্থিতি, তাতে দু’পক্ষের সেনা সমাবেশ যে গোটা শীতকাল জুড়ে গড়াবে, সে বিষয়ে নিঃসন্দেহে নয়াদিল্লি। ইতিমধ্যেই চিনের সেনারা প্রবল শীতে ওই এলাকায় থাকার প্রস্তুতি প্রায় সেরে ফেলেছে। সেনাদের জন্য উপযুক্ত গরম কাপড়, তাঁবু, রেশন জোগানের প্রশ্নে ভারত কতটা এগিয়েছে, তা জানতে আজ পিএসি কমিটির বৈঠকে কমিটির চেয়ারম্যান অধীর চৌধুরী চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়তকে ডেকেছিলেন। সূত্রের মতে, বৈঠকে সেনা প্রতিনিধিদের দাবি, লাদাখের শীত যাতে ভারতীয় সেনাদের কাবু না-করতে পারে, সে জন্য বিদেশ থেকে গরম পোশাক আনতে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। খুব দ্রুত তা আমদানি করা হবে।

গত কালই প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হওয়ার প্রশ্নে জোর দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। স্বভাবতই কমিটি সদস্যরা প্রশ্ন তোলেন, যেখানে রাইফেল, ক্ষেপণাস্ত্র, কামানের মতো প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ভারতে তৈরির কথা বলা হচ্ছে, সেখানে লাদাখের আবহাওয়ার জন্য গরম জামা কেন বানাতে পারে না ভারত? বলা হয়, করোনা সংক্রমণের গোড়ার দিকে ভারতে কোনও পিপিই কিট বানানোই হতো না। কিন্তু সংক্রমণের ছয় মাসের মধ্যে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকার পিপিপি উৎপাদন হচ্ছে। এক কংগ্রেস সাংসদ প্রশ্ন করেন, এক দিকে ১০১টি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানি বন্ধ করা হচ্ছে, অন্য দিকে ইউরোপের বাজার ঘুরে গরম পোশাক খোঁজা হচ্ছে— এই দ্বিচারিতার অর্থ কী? সূত্রের মতে, কমিটির সদস্যদের রাওয়ত আশ্বাস দিয়ে বলেন, শীত শুরু হওয়ার আগেই ‘হাই অল্টিটিউড কোল্ড ক্লোদিং’ সেনাদের পৌঁছে দেওয়া হবে। উন্নত মানের তাঁবু ও বাড়তি সেনার জন্য রেশনও সময়ে পৌঁছে যাবে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন