Supreme Court

‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ বাদ দিতে মামলা কোর্টে

সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছেন বলরাম সিংহ, করুণেশ কুমার শুক্ল এবং প্রবেশ কুমার। প্রথম দু’জন আইনজীবী। ১৯৭৬ সালে ৪২তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ওই শব্দ দু’টি সংবিধানের প্রস্তাবনায় জায়গা পেয়েছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২০ ০৫:০৬
Share:

ফাইল চিত্র

ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দু’টি বাদ দিতে জনস্বার্থ মামলা হল সুপ্রিম কোর্টে। মামলাকারীদের মতে, ওই শব্দগুলি সংবিধানের মূল সুর এবং ভারতের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ভাবনার বিরোধী। এই বিষয়কে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতির অঙ্গনে চাপানউতোর চলেছে। বিষয়টি এ বার সর্বোচ্চ আদালতে পৌঁছল।

Advertisement

সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছেন বলরাম সিংহ, করুণেশ কুমার শুক্ল এবং প্রবেশ কুমার। প্রথম দু’জন আইনজীবী। ১৯৭৬ সালে ৪২তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ওই শব্দ দু’টি সংবিধানের প্রস্তাবনায় জায়গা পেয়েছিল। মামলাকারীদের মতে, সংবিধানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং ধর্মাচারণের যে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে, সেই সংক্রান্ত ধারাগুলির পরিপন্থী এই শব্দ দু’টি। তাঁদের যুক্তি, ভারতের সুপ্রাচীন সভ্যতায় ধর্মের ভাবনা প্রোথিত এবং দেশের প্রেক্ষাপটে কমিউনিস্ট তত্ত্ব থেকে আমদানি করা চিন্তাকে চাপিয়ে দেওয়া চলে না। নির্বাচন কমিশনে যখন কোনও রাজনৈতিক দল স্বীকৃতির জন্য আবেদন করে, তখনও তাদের এই শব্দ দু’টির গুরুত্ব মেনে চলতে হয়। ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এবং ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দগুলিকে কেন জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে যুক্ত করা হল, তাকেও চ্যালেঞ্জ করেছেন মামলাকারীরা। শীর্ষ আদালতের কাছে তাঁদের আর্জি, নাগরিক, রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সংস্থার কাজের ক্ষেত্রে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রের মতো শব্দগুলি যাতে কার্যকর না হয়, তা ঘোষণা করতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিক আদালত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন