মায়াবতী। ফাইল চিত্র
উত্তরপ্রদেশের ৭৫টি আসন ভাগ করে নিল মায়াবতী এবং অখিলেশ যাদবের দল। কে কোন আসনে লড়বে, তা ঘোষণা করে সমাজবাদী পার্টি-বিএসপি জানিয়ে দিল, রায়বরেলী ও অমেঠী ছাড়া কংগ্রেসের জন্য কোনও আসন ছাড়া হচ্ছে না। সমাজবাদী পার্টি ৩৭টি এবং বিএসপি ৩৮টি আসনে লড়বে। ৩টি আসন ছাড়া হচ্ছে অজিত সিংহের রাষ্ট্রীয় লোকদলকে। জোট ঘোষণার দিনই মায়া জমানার পুরনো মামলা খুঁচিয়ে তুলেছে সিবিআই। ২০১০-এ মায়াবতী মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ে সরকারি কর্মীদের নিয়োগ নিয়ে সিবিআই আজ প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট নথিভুক্ত করেছে। আগেই অখিলেশ জমানার কাজ নিয়ে সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে।
মায়াবতীদের জোট ঘোষণার পরে স্পষ্ট, দিল্লি দখলের প্রশ্নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য উত্তরপ্রদেশের ৮০টি আসনে ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে। বিজেপি এতে লাভবান হবে কিনা, সেই প্রশ্ন উঠছে। তবে সূত্রের মতে, কিছু আসনে সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেস কৌশলগত সমঝোতা করতে পারে। সাংগঠনিক দিক থেকে কংগ্রেস দুর্বল হলেও রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কা যে ভাবে ঝাঁপিয়েছেন, তাকে গুরুত্ব দিতে বাধ্য হচ্ছে বিজেপি-বিরোধী বাকি দলগুলি।
জোটে কংগ্রেসকে না নেওয়ার পিছনে মায়াবতীর অনড় মনোভাবকেই দায়ী করছেন অনেকে। অখিলেশ সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন, ‘‘রাজ্যে আসন সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব নয়। আরও আসন থাকলে কংগ্রেসকে ছাড়া যেত।’ অখিলেশের কথায় স্পষ্ট, কিছু আসন কংগ্রেসকে ছেড়ে দিয়ে বিজেপি-র বিরুদ্ধে তিনি জোরালো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। দলিত ও পিছড়ে বর্গের ভোটভিত্তির কারণে গোড়া থেকেই বুয়াকে তোয়াজ করে এসেছেন অখিলেশ। শেষবিচারে জোটের প্রশ্নে অগ্রাধিকারে মায়াবতীই থেকেছেন, রাহুল নন। সমাজবাদী পার্টির নেতাদের দাবি, কংগ্রেস আলাদা লড়লেও সমস্যা হবে না। তাঁদের আশা, কংগ্রেস, বিজেপির উচ্চবর্ণের ভোট কাটবে। গত লোকসভা ভোটে যা গিয়েছিল নরেন্দ্র মোদীর পকেটে।
গ্রামীণ এলাকার আসন বেশি রেখেছেন মায়াবতী। শহরের বেশি আসনে লড়ছে অখিলেশের দল। বিএসপি লড়ছে আলিগড়, বিজনৌর, সহারানপুর, ফতেপুর সিক্রিতে। সমাজবাদী পার্টি লড়বে লখনউ, কৈরানা, কনৌজ, বারাণসী, ইলাহাবাদে।