সিবিআই কর্তাদের লড়াই ‘ভাইরাল’ সোশ্যাল মিডিয়ায়

যে লড়াই ছিল সিবিআইয়ের অভ্যন্তরে, এ বার তা ছড়িয়ে পড়ল সোশ্যাল মিডিয়াতেও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৮ ০২:২৩
Share:

যে লড়াই ছিল সিবিআইয়ের অভ্যন্তরে, এ বার তা ছড়িয়ে পড়ল সোশ্যাল মিডিয়াতেও।

Advertisement

সিবিআইয়ের স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার নামে সিবিআই যে এফআইআর করেছে, তা ছড়িয়ে পড়েছে হোয়াটসঅ্যাপে। এমনকী, সতীশ বাবু সানা নামে যে ব্যক্তির কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই এফআইআর, তাঁর ৬ পাতার সেই অভিযোগও চলে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সানা এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত।

লড়াইটা মূলত সিবিআইয়ের ডিরেক্টর অলোক বর্মার সঙ্গে রাকেশ আস্থানার। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে অবসর নেওয়ার কথা অলোকের। তারপরে ডিরেক্টর হওয়ার কথা আস্থানার। অভিযোগ উঠেছে, আস্থানা যাতে ডিরেক্টর না হতে পারেন তার জন্য এই এফআইআর করানো হয়েছে। প্রশাসনিক মহলের একাংশের বক্তব্য, সিবিআইয়ের অফিসারেরাও কার্যত দু’টি দলে ভাগ হয়ে গিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, তাঁদেরই কেউ অভ্যন্তরীণ নথি বাইরে ছড়াচ্ছেন। যেমন, অলোক বর্মার শিবির আস্থানার বিরুদ্ধে সানার অভিযোগ প্রকাশ করে দিয়েছেন, তেমনই আস্থানা ঘনিষ্ঠরাও পাল্টা অভিযোগ ছড়িয়ে দিচ্ছেন। সোমবার সন্ধ্যায় অবশ্য সিবিআই একটি বিবৃতি দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে ডিরেক্টরের। বলা হয়েছে, মিডিয়ার একাংশ এই ঘটনা নিয়ে অহেতুক কিছু অফিসারকে কাঠগড়ায় দাঁড়় করানোর চেষ্টা করছে।

Advertisement

সানার যে অভিযোগপত্র ‘ভাইরাল’ হয়ে গিয়েছে, তা অনুসারে, সানার দাবি, ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে বার বার তাঁকে ডেকে পাঠাতে শুরু করেন দেবেন্দ্র। ওই বছরের ডিসেম্বরে সানা দুবাই যান এবং সেখানে তাঁর সঙ্গে পূর্ব পরিচিত মনোজ প্রসাদের দেখা হয়। সিবিআইকে ‘ম্যানেজ’ করে নেবেন বলে মনোজ দাবি করেন। সানার সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেন ভাই সোমেশ প্রসাদের। তাঁরা দাবি করেন, আস্থানাকে তাঁরা চেনেন এবং ৫ কোটি টাকার বিনিময়ে সানাকে ‘ক্লিন চিট’ দেওয়া হবে।

সানার দাবি, দুই ভাইয়ের কথামতো তিনি তাঁদের প্রথমে ২.৯৫ কোটি টাকা দেন। সেই টাকা পেয়ে সোমেশ দুবাই থেকে ভারতে আসেন। তারপরে দুবাইয়ে সানাকে ফোন করে দাবি করেন, তিনি আস্থানার অফিসে বসে। ফোন অন করে তাঁর সঙ্গে আস্থানার ‘কথোপকথন’ও সানাকে শোনান তিনি। কিন্তু, সানা ভারতে ফেরার পরে আবার তাঁকে পর পর ডেকে পাঠাতে শুরু করে সিবিআই। মনোজরা জানান, বাকি ২ কোটি টাকা পেলে আর ডাকা হবে না। দাবি, তখন আরও ২৫ লক্ষ টাকা দেন সানা। এই মনোজকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।

আস্থানা শিবিরের পাল্টা অভিযোগ, এই সানা-ই এই বছরের এপ্রিল-মে মাস নাগাদ তেলুগু দেশমের এক সাংসদের মাধ্যমে ২ কোটি টাকা দেন ডিরেক্টর অলোক বর্মাকে। তাঁদের যুক্তি, মনোজ বা সোমেশ সানার কাছ থেকে টাকা নিলেও কী ভাবে প্রমাণিত হয় তা আস্থানা নিয়েছেন? সোমেশের হোয়াটসঅ্যাপে আস্থানার ছবি (ডিপি) দেখিয়ে বলা হয়, এঁর সঙ্গেই কথা হল। অভিযোগ, তাতেও কি প্রমাণ হয় যে সোমেশের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন আস্থানা? কারও মোবাইল নম্বর সেভ করা থাকলে, তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ আসবে এবং সেখানে তাঁর ডিপি বা প্রোফাইল ছবিও পাওয়া যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন