National news

দুই শিক্ষকের হাতেই অর্থনীতি প্রশ্ন ফাঁস, দিল্লিতে গ্রেফতার তিন

এঁরা তিনজন মিলে অর্থনীতির প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছিলেন পরীক্ষা শুরুর দেড় ঘণ্টা আগে। স্কুলে প্রশ্নপত্রের যে বান্ডিল এসেছিল, তার সিল খুলে ছবি তোলার পর ঋষভ এবং রোহিত তা হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন টিউটরিয়ালের মালিক তৌকিরের কাছে। এর পর একদল ছাত্রছাত্রীর কাছে তৌকির তা ফরওয়ার্ড করে দেন।

Advertisement

নয়াদিল্লি

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৮ ১৪:৩৬
Share:

ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ। ছবি: এএফপি।

সব ঠিকঠাক চলছিল। মোটা টাকা এসে গিয়েছিল পকেটে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হজম করা গেল না। সিবিএসই-র দ্বাদশ শ্রেণির অর্থনীতির প্রশ্ন ফাঁসে কাণ্ডে দিল্লি থেকে ধরা পড়ে গেলেন তিন জন। দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্র্যাঞ্চ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে দু’জন একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক। অন্য জন দিল্লিরই একটি কোচিং সেন্টারের মালিক।

Advertisement

দশম শ্রেণির অঙ্ক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার কারা হয়েছে ১২ জনকে। এর পর দিল্লি থেকে নতুন করে আরও তিনজন গ্রেফতার হওয়ায় অনেকেই বলছেন, কুচক্রের জাল বিশেষ কোনও এলাকায় আটকে নেই। বরং তা ছড়ানো রয়েছে গোটা দেশে। বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীদেরও দাবি, সিবিএসই যদি দশম শ্রেণির পরীক্ষা নতুন করে নেবে বলে ভাবে, তবে শুধু দিল্লি কিংবা হরিয়ানায় নয়, নেওয়া হোক গোটা দেশে।

জটিলতা বাড়ছে দ্বাদশ শ্রেণির অর্থনীতির পুনর্পরীক্ষা নিয়েও। পরীক্ষার দিন ঠিক করা হয়েছে ২৫ এপ্রিল। কিন্তু পড়ুয়াদের অভিযোগ, এত দেরি করে পরীক্ষার জন্য তাঁরা প্রবেশিকার প্রস্তুতি নিতে পারছেন না। ফলে উচ্চশিক্ষায় ভর্তির ক্ষেত্রে তাঁদের সমস্যার মুখে পড়তে হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: দলিত হয়ে ঘোড়ায় চড়া, ‘অপরাধে’ খুন যুবক

আরও পড়ুন: আরও পড়ুন: নিউমোনিয়া সারাতে শিশুকে অ্যাসিড খাওয়ালেন হাতুড়ে!

প্রশ্নফাঁসে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু এরা কারা? একদল শিক্ষক ও গুটিকয়েক টিউটরিয়ালের ‘সিন্ডিকেট’ যে এই ঘটনায় সরাসরি যুক্ত রয়েছে, তা নিয়ে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্র্যাঞ্চ মোটের উপর নিশ্চিত। অর্থনীতির প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে দুজনের নাম ঋষভ এবং রোহিত। এঁদের এক জন দিল্লি সংলগ্ন এলাকায় বেসরকারি স্কুলে পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক। অন্য জন সেই স্কুলেই অঙ্ক পড়াতেন। ধৃতদের মধ্য তৃতীয় জনের নাম তৌকির। তিনি একটি টিউটরিয়ালের মালিক।

তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের দাবি, এঁরা তিনজন মিলে অর্থনীতির প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছিলেন পরীক্ষা শুরুর দেড় ঘণ্টা আগে। স্কুলে প্রশ্নপত্রের যে বান্ডিল এসেছিল, তার সিল খুলে ছবি তোলার পর ঋষভ এবং রোহিত তা হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন টিউটরিয়ালের মালিক তৌকিরের কাছে। এর পর একদল ছাত্রছাত্রীর কাছে তৌকির তা ফরওয়ার্ড করে দেন।

জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে মাথাপিছু নেওয়া হয়েছিল দুই থেকে আড়াই হাজার টাকার মধ্যে। সেই টাকার অর্ধেক নিজে রেখে বাকি ৫০ শতাংশ না কি তৌকির দিয়েছিলেন দুই শিক্ষককে। পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে মোট ৬৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৩ জন ছাত্র, ৯ জন শিক্ষক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement