সিবিএসই-র দ্বাদশ শ্রেণির ফল প্রকাশ কবে হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটল না আজও। সিবিএসই কর্তৃপক্ষ এবং আদালতের মধ্যে আইনি লড়াই জারি থাকায় রেজাল্ট বের হওয়ায় দিনক্ষণ জানাতে পারলেন না কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরও। তিনি আজ শুধু বলেছেন, ‘‘সঠিক সময়েই রেজাল্ট প্রকাশিত হবে।’’ ফল প্রকাশে দেরি হওয়ায় স্নাতক স্তরে ভর্তি প্রক্রিয়াও শুরু করতে পারছে না দিল্লির কলেজগুলি।
পাশের হার ঠিক রাখতে এত দিন কঠিন প্রশ্নের ক্ষেত্রে উত্তরদাতাদের বাড়তি (গ্রেস) নম্বর দিয়ে থাকত সিবিএসই। কিন্তু গত মাসে বোর্ডের পক্ষ থেকে সেই নিয়ম বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। দিন কয়েক আগে দিল্লি হাইকোর্ট সিবিএসসি-র রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়ে জানায়, পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পরে বাড়তি নম্বর পাইয়ে দেওয়ার নীতি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে না বোর্ড। সে ক্ষেত্রে বঞ্চিত হবে ছাত্রছাত্রীরা। সিবিএসই-কে আগের নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে আদালত। বোর্ডের কাছে আদালত জানতে চায়, কেন এক বছর পরে ওই নতুম নিয়ম চালু করা হচ্ছে না। আদালতের মতে, এতে ছাত্রছাত্রীরা নতুন নিয়মে অভ্যস্ত হওয়ার জন্য এক বছর অন্তত সময় পাবে। যদিও চলতি বছর থেকেই
নতুন নিয়ম চালু করতে অনড় সিবিএসই কর্তৃপক্ষ।
রণকৌশল ঠিক করতে গত কাল বৈঠকে বসেন বোর্ডের সদস্যরা। উপস্থিত ছিলেন প্রকাশ জাভড়েকরও। ঠিক হয়েছে, হাইকোর্টের রায় প্রত্যাহার করতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে সিবিএসই। মন্ত্রকের একটি অংশ চলতি সপ্তাহের মধ্যে ফলাফল ঘোষণার পক্ষে থাকলেও বিষয়টি শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ায় সময় বেশি লাগবে বলেই মনে করছে সব শিবির।