নীরব-কেলেঙ্কারিতে লড়াই অব্যাহত

ক্যাভিয়েট দাখিলের নির্দেশ কেন্দ্রের

সাম্প্রতিক অতীতে কোনও আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত-প্রক্রিয়া সুরক্ষিত রাখতে কেন্দ্রের তরফে ক্যাভিয়েট দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কি না, তা মনে করতে পারছেন না মন্ত্রকের কর্তা-আধিকারিকদের অনেকেই।

Advertisement

চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:০৪
Share:

কলকাতায় রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ কংগ্রেসের। মঙ্গলবার। —নিজস্ব চিত্র।

পিএনবি-তে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি। নীরব মোদী-কাণ্ডের তদন্ত যাতে পূর্ণাঙ্গ হয়, তা নিশ্চিত করতে আটঘাট বেঁধে নামল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সম্প্রতি নীরব-তদন্তের ভার ‘সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিস’কে (এসএফআইও) দিয়েছে কেন্দ্র। এরই পাশাপাশি, প্রতিটি রাজ্যে কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের ‘রেজিস্ট্রার অফ কোম্পানিজ’কে (আরওসি) লিখিতভাবে কেন্দ্র জানিয়েছে, তদন্তের নির্দেশকে সুরক্ষিত রাখতে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের হাইকোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করতে হবে। আইনি পরিভাষায় এর অর্থ, ক্যাভিয়েটের আবেদনকারীর কথা না শুনে আদালত কোনও রায় দেবে না।

Advertisement

সাম্প্রতিক অতীতে কোনও আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত-প্রক্রিয়া সুরক্ষিত রাখতে কেন্দ্রের তরফে ক্যাভিয়েট দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কি না, তা মনে করতে পারছেন না মন্ত্রকের কর্তা-আধিকারিকদের অনেকেই। আইনজ্ঞদের একাংশের ব্যাখ্যা, গোটা কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠী আইনের দ্বারস্থ হয়ে যাতে তদন্তের পথে বাধা হয়ে উঠতে না পারে, তা নিশ্চিত করতেই ক্যাভিয়েট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।

মন্ত্রকের আধিকারিকদের একাংশের যুক্তি, অতীতে সারদা-কাণ্ডের তদন্তে একসঙ্গে কাজ করেছিল সিবিআই, এসএফআইও, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম’ (সিট)। কিন্তু সংস্থাগুলির মধ্যে সমন্বয়ের অভাব বিভিন্ন সময়ে স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। এমনকী, তদন্তের কাজে বাজেয়াপ্ত করা নথি তদন্তকারী এক সংস্থা অন্য সংস্থাকে দেখাতে ততটা আগ্রহীও ছিল না। আইনি রক্ষাকবচ থাকায় এ বার নীরব-তদন্তে অন্য কোনও সংস্থা কাজ করলেও তারা কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের অধীনে এসএফআইও’র সঙ্গে সমন্বয় করতে বাধ্য থাকবেন। তথ্যপ্রমাণের উপরেও এসএফআইও-র অধিকার বজায় থাকবে। সূত্রের খবর, পিএনবি’র দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে নীরব ছাড়াও নিশ্চল মোদী, অ্যামি নীরব মোদী এবং মেহুল চোক্সী-সহ যাঁরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যে কোম্পানি বা ‘লিমিটেড লায়বিলিটি পার্টনারশিপে’র সঙ্গে (এলএলপি) যুক্ত ছিলেন, সেগুলির তদন্ত করবে এসএফআইও। সন্দেহের তালিকায় থাকা ১০৭টি কোম্পানি এবং সাতটি এলএলপি-র ডিরেক্টরদের সম্পর্কেও অনুসন্ধান করবে অডিটর-সহ সংশ্লিষ্ট ঘটনায় যুক্ত সম্ভাব্য সকলকে এসএফআইও-র তদন্তের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। চার মাসের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট কেন্দ্রকে জমা দেওয়ার কথা এসএফআইও’র।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন