আফস্পা বদলের ভাবনা কেন্দ্রের

উপদ্রুত এলাকায় বিশেষ পরিস্থিতিতে আইনভঙ্গকারীদের উপর গুলি চালিয়ে জীবনহানি ঘটনার অধিকার সেনার থেকে কেড়ে নেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে কেন্দ্র।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:৩৪
Share:

—ফাইল চিত্র।

বিতর্কের মুখে সেনাবাহিনীর বিশেষ অধিকার আইনে (আফস্পা) গুরুত্বপূর্ণ বদল আনার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার। উপদ্রুত এলাকায় বিশেষ পরিস্থিতিতে আইনভঙ্গকারীদের উপর গুলি চালিয়ে জীবনহানি ঘটনার অধিকার সেনার থেকে কেড়ে নেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে কেন্দ্র।

Advertisement

নাগাল্যান্ড, মণিপুর, জম্মু-কাশ্মীরে দীর্ঘ সময় ধরে চালু রয়েছে আফস্পা। নয়ের দশকে অসমেও চালু হয় এই আইন। উপদ্রুত এলাকাগুলিতে সেনার হাতে এই অস্ত্র তুলে দিয়ে বিক্ষোভ ও জঙ্গি কার্যকলাপ সামাল দেওয়া হয়ে থাকে। এই আইন অনুযায়ী, উপদ্রুত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে গিয়ে সেনা চাইলে আইনভঙ্গকারীদের উপর বলপ্রয়োগ, গ্রেফতার এমনকি যে কারও উপরে গুলিও চালাতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাঁর মতো করে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরেই বলপ্রয়োগের রাস্তা বেছে নিতে পারে সেনা। দীর্ঘদিন থেকেই অভিযোগ উঠেছে, এই আইনকে সামনে রেখে উপদ্রুত এলাকার নাগরিকদের উপরে অত্যধিক বলপ্রয়োগ করা হয়। সূত্রের খবর, আফস্পা-য় সেনার হাত থেকে জীবনহানির অধিকার কেড়ে নেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্র।

তবে অনেকেই মনে করেন, জীবনহানির অংশ বাদ গেলে আফস্পাকে অনেকটাই লঘু করে দেওয়া হবে। আফস্পা-য় কোনও রদবদল না করতে সেনাবাহিনীর প্রায় শ’তিনেক সদস্য সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছেন। তবে মানবাধিকার কর্মীরা দীর্ঘদিন থেকেই সেনার বিশেষ অধিকারের বিরুদ্ধে সরব। মণিপুরের নেত্রী ইরম চানু আফস্পা তুলে দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে অনশন করেছেন। দু’বছর আগে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের বিরুদ্ধে রায় দেয় আদালত। এই সংক্রান্ত প্রতি ঘটনা

Advertisement

সরকারকে তদন্ত করতে বলা হয়।

স্বরাষ্ট মন্ত্রক সূত্রের দাবি, উপদ্রুত এলাকায় আফস্পা প্রয়োগ করা থেকে পিছিয়ে আসার কথা ভাবছে না কেন্দ্র। সেনাকে বলপ্রয়োগ করা থেকেও আটকানোর ব্যাপার নেই। জীবনহানির ক্ষেত্রে আইন বদলের প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে। মানুষের অভিযোগ শোনার ব্যাপারেও গুরুত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন