কৃষি-কর্মী নিয়ে প্যাঁচে কেন্দ্র

আচ্ছা গেরোয় পড়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি গত কাল বলেছেন, ‘‘আর্থিক সংস্কারের প্রশ্নে সরকার পিছু হটবে না।’’ কিন্তু প্রাক্-নির্বাচনী পরিস্থিতি মাথায় রেখে ঘাটতি অনিবার্য জেনেও শুধু গুজরাতেই কয়েকশো কোটি টাকার আর্থিক ভর্তুকি বরাদ্দ করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:২৮
Share:

আচ্ছা গেরোয় পড়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি গত কাল বলেছেন, ‘‘আর্থিক সংস্কারের প্রশ্নে সরকার পিছু হটবে না।’’ কিন্তু প্রাক্-নির্বাচনী পরিস্থিতি মাথায় রেখে ঘাটতি অনিবার্য জেনেও শুধু গুজরাতেই কয়েকশো কোটি টাকার আর্থিক ভর্তুকি বরাদ্দ করা হয়েছে। যে ভর্তুকি কমানোই সংস্কারের অন্যতম শর্ত বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদেরা। অন্য দিকে আবার আর্থিক উপদেষ্টারা বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পে, বিশেষত কৃষি ক্ষেত্রে কর্মী নিয়োগ বন্ধ রেখেছেন। বিশেষত অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী করার বিষয়টি বেশ কয়েকটি রাজ্যে আটকে রয়েছে। তা নিয়ে কেন্দ্রের কাছে দরবার শুরু করেছে তিন রাজ্যের তিন সংস্থা।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানের তিনটি সংস্থা সম্প্রতি দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী রাধামোহন সিংহের। পশ্চিমবঙ্গের কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্র, রাজস্থানের কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থা ও মহারাষ্ট্রের কৃষি সমবায় কর্মী সংগঠনের দাবি, দীর্ঘ দিন ধরে তাদের অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী করার আশ্বাস দিয়েছে সরকার। কিন্তু এখনও তা হয়নি। রাজস্থানে প্রায় দশ হাজার, মহারাষ্ট্রে প্রায় চার হাজার ও পশ্চিমবঙ্গে সাড়ে ছয় হাজার কর্মীর ভবিষ্যৎ ঝুলে রয়েছে। রাজস্থানের সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক মহেশ অগ্রবাল বলেন, ‘‘রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে আশ্বাস দিয়েছিলেন কেন্দ্রের কাছ থেকে স্থায়ী করার বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। কিন্তু কেন্দ্র এখনও নড়েচড়ে বসেনি।’’

পশ্চিমবঙ্গের কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্রের কর্ণধার তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি দিল্লি এসে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর দরবার থেকে মানবাধিকার কমিশন পর্যন্ত দৌড়োদৌড়ি করেছেন। মানবাধিকার কমিশনই রাজ্যের কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্রের সাড়ে ছ’হাজার কর্মীকে স্থায়ী করার বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছিল। একই রকম নির্দেশ এসেছিল সুপ্রিম কোর্ট থেকে। পশ্চিমবঙ্গে ইন্দিরা গাঁধীর বিশ দফা কর্মসূচির আদলে ওই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল। ইন্দিরার কর্মসূচির নাম না রেখে এই গ্রামীণ প্রকল্পটি চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয় মোদী সরকার। তবু কেন স্থায়ী করা হচ্ছে না কর্মীদের, প্রশ্ন সেটাই

Advertisement

কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী সংস্থাগুলিকে জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ থাকায় সরকার খুব শীঘ্রই কর্মীদের স্থায়ী করবে। একশো দিনের প্রকল্পের জন্য গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক অর্থ মন্ত্রকের কাছে বরাদ্দ চেয়েছে। কৃষি মন্ত্রক এই অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী করতে অর্থ মন্ত্রকের কাছে অতিরিক্ত সাহায্য চেয়েছে। তরুণবাবু জানিয়েছেন, এর পরেও কৃষি মন্ত্রক পদক্ষেপ না করলে শ্রমিক অধিকারের প্রশ্ন তুলে তাঁরা শ্রম মন্ত্রকের দ্বারস্থ হবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন