কড়া নজর। জম্মু-কাশ্মীর জাতীয় সড়কে পিটিআইয়ের তোলা ছবি।
জাতীয়তাবাদের মন্ত্র আউড়ে কাশ্মীর নিয়ে কড়া অবস্থান আঁকড়ে রয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করায় তাদের আগ্রহ এখনও দেখেনি উপত্যকা। কিন্তু খোদ সেনাবাহিনীরই শিবিরে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে জঙ্গিরা। ফলে সেনার প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কুপওয়ারার সেনা ঘাঁটিতে হামলার পরে এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
সরকারি সূত্রে খবর, গত কাল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। ডোভালের কাছ থেকে সেনার প্রস্তুতি নিয়ে বিশদে তথ্য জানতে চেয়েছেন তিনি। কুপওয়ারার সেনাঘাঁটিতে হামলার পরে প্রশ্ন উঠেছে, জঙ্গি মোকাবিলায় বাহিনী কি পুরোপুরি প্রস্তুত? প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল শঙ্কর রায়চৌধুরীর প্রশ্ন, ‘‘গোয়েন্দা ব্যর্থতা তো রয়েছেই। কিন্তু নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে শিবিরে সেনার সব সময়েই সতর্ক থাকার কথা। সেই প্রস্তুতিরও কি অভাব রয়েছে?’’
আরও পড়ুন:মদ্যপ স্বামীর জন্য মন্ত্রীর দাওয়াই ‘মোগরি’
তবে বিজেপি যে কাশ্মীর নিয়ে কড়া অবস্থান ছাড়ছে না তা আজ ফের স্পষ্ট করে দিয়েছেন দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব। আজ শ্রীনগরে মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পিডিপি সূত্রে খবর, উপত্যকার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়েই আলোচনা হয়েছে। হুরিয়তের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতাদের তোপ, সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়তের কড়া মন্তব্যে যে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়েছে তা মাধবকে জানিয়েছেন মেহবুবা। এক প্রবীণ পিডিপি নেতার কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নিজেও কাশ্মীরে এসে যুবকদের সন্ত্রাস আর পর্যটনের মধ্যে একটি বেছে নিতে বলেছিলেন। সব কাশ্মীরিকে এক রঙে রাঙিয়ে দিতে চায় বিজেপি। সেটা কাশ্মীরি যুবসমাজের ঘোর অপছন্দ।’’ কিন্তু কেন্দ্র যে এখনও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে কথা বলতে বিশেষ আগ্রহী নয় তা জানিয়ে দিয়েছেন মাধব। উপত্যকার পরিস্থিতি সামলাতে ‘কড়া’ পদক্ষেপ করতে মেহবুবাকে অনুরোধ করেছেন তিনি।
কুপওয়ারার সেনা শিবিরে জঙ্গি হামলার পরে বিক্ষোভ সামলাতে গুলি ছোড়ে সেনা। তাতে নিহত হন এক স্থানীয় বাসিন্দা। সেই ঘটনার প্রতিবাদে আজ হরতাল ডেকেছিল হুরিয়ত। তার ফলে বিপর্যস্ত হয় জনজীবন।